Crime News

১৫ বছর বয়সেই প্রেম! ‘অবাধ্য’ কন্যাকে কুপিয়ে মারলেন মা, সঙ্গ দিল বোনেরাও

উত্তরপ্রদেশের গ্রামে কিশোরীকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ তার মায়ের বিরুদ্ধে। গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে কিশোরীর প্রেম চলছিল। মা তা মেনে নিতে পারেননি। সেই কারণেই এই হত্যা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২৩ ০৮:৩৪
An image representing death

—প্রতীকী চিত্র।

প্রেমের সম্পর্কে পরিবারের সম্মতি মেলেনি। তা সত্ত্বেও প্রেম চালিয়ে যাচ্ছিল কিশোরী। গ্রামেরই এক যুবকের সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। কন্যাকে প্রেম করতে নিষেধ করেছিলেন মা। কথা না শোনায় তাকে কুপিয়ে হত্যা করলেন। এই কাজে মাকে সঙ্গ দিল কিশোরীর অন্য বোনেরাও।

Advertisement

ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের কৌশাম্বী জেলার মনঝনপুর থানা এলাকার। অভিযুক্ত মহিলার নাম শিবপতি। অভিযোগ, তিনি তাঁর ১৫ বছরের কন্যাকে খুন করে দেহ গ্রামেরই এক কুয়োতে ফেলে দিয়েছিলেন। তার পর পুলিশের কাছে নিজেই কন্যার অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন।

১৪ অক্টোবর থানায় কন্যার নিখোঁজ এবং অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন মহিলা। তিনি জানান, ২ অক্টোবর থেকে কিশোরী নিখোঁজ। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। কিছু দিন পর গ্রামের মানুষ পুলিশকে জানায় কুয়োতে একটি মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। সেই দেহ কন্যার বলে শনাক্ত করেন ওই মহিলা। এর পরেই কেঁচো খুঁড়তে বেরিয়ে পড়ে কেউটে।

তদন্তে পুলিশ জানতে পারে মহিলাই কিশোরীর খুনি। জেরার মুখে তিনি তা স্বীকারও করে নেন। জানান, গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে প্রেম করত মেয়ে। বার বার বারণ করা সত্ত্বেও তাদের থামানো যায়নি। সেই কারণেই ধারালো অস্ত্র, লাঠি দিয়ে মেরে এবং কুপিয়ে কিশোরীকে খুন করা হয়। তাঁর সঙ্গে হাত লাগিয়েছিলেন বাড়ির আরও কয়েক জন। ওই মহিলা এবং তার অন্য নাবালিকা কন্যাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খোঁজ চলছে পরিবারের আরও এক জনের। তাঁদের বিরুদ্ধে খুন-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।

Advertisement
আরও পড়ুন