Hemant Soren

বিহারের মতো ঝাড়খণ্ডেও কি লালু-রাবড়ী মডেল? মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বলছেন, ‘খুব শীঘ্রই সব বলব’

পশুখাদ্য দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার পরে ১৯৯৭ সালে লালুপ্রসাদ বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন। সকলকে হতচকিত করে রাবড়ী দেবীকে মুখ্যমন্ত্রী করেছিলেন তিনি।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
রাঁচী শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২৪ ০৭:১৯
hemant soren

ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তথা ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) প্রধান হেমন্ত সোরেন। ছবি: পিটিআই।

আচমকা ঝাড়খণ্ড রাজনীতিতে লালু-রাবড়ী চর্চা!

Advertisement

এই চর্চার সূত্রপাত ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তথা ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) প্রধান হেমন্ত সোরেনের একটি সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে।

বিজেপির তরফে আজ প্রচার করা হয় মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত ‘নিখোঁজ’। এর ঘণ্টাখানেক পরেই প্রকাশ্যে আসেন তিনি এবং শাসক জোটের বিধায়কদের বৈঠক ডাকেন। সেখানে ছিলেন হেমন্ত-পত্নী কল্পনা সোরেনও। জেএমএম প্রধানের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। বিজেপির অভিযোগ, গত শতকের নয়ের দশকে লালুপ্রসাদ যেমন স্ত্রী রাবড়ী দেবীকে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসিয়ে বকলমে সরকার চালাতেন, হেমন্তও সেই পন্থা নিতে চলেছেন।

আজ বৈঠকের পরে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে হেমন্ত বলেন, ‘‘খুব শীঘ্রই আপনাদের সব বলব।’’ শাসক জোটে শামিল কংগ্রেসের দুই বিধায়ক অম্বা প্রসাদ এবং দীপিকা পাণ্ডে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী বদলের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন। ঝাড়খণ্ডে সরকারে রয়েছে জেএমএম, কংগ্রেস এবং আরজেডি।

প্রসঙ্গত, পশুখাদ্য দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার পরে ১৯৯৭ সালে লালুপ্রসাদ বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন। সকলকে হতচকিত করে রাবড়ী দেবীকে মুখ্যমন্ত্রীর করেছিলেন তিনি।

হেমন্ত কোথায় তা নিয়ে গত কাল দিনভর জল্পনা চলেছিল। আজ ভোরে রাঁচী ফেরেন তিনি। কোথায় গিয়েছিলেন জানতে চাওয়া হলে হেমন্ত সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আমি আপনাদের হৃদয়েই রয়েছি।’’

আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগে হেমন্তের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করছে ইডি। আগামিকাল দুপুরে রাঁচীতে নিজের বাসভবনে তদন্তকারীদের মুখোমুখি হতে পারেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। তার আগে শাসক জোটের বিধায়কদের বৈঠক এবং তাতে কল্পনার উপস্থিতি চর্চায় রসদ জুগিয়েছে। ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের বলেছেন, ‘‘চলতি মাসে জেএমএম বিধায়ক সরফরাজ আহমেদ বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন। খুব তাড়াতাড়ি হেমন্ত সোরেনও পদত্যাগ করবেন এবং তাঁর স্ত্রী পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হবেন।’’ নিশিকান্তের ইঙ্গিত, সরফরাজের ছেড়ে দেওয়া আসন থেকে জিতিয়ে আনা হতে পারে হেমন্তের স্ত্রীকে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ চেয়ে সরব হয়েছে বিজেপি।

বিষয়টি নিয়ে হেমন্তের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন খোদ রাজ্যপাল সি পি রাধাকৃষ্ণন। বিষয়টির উপরে নজর রাখছেন বলে জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘কেউ-ই আইনের ঊর্ধ্বে নন।’’ হেমন্ত যদি লালুর পদাঙ্ক অনুসরণ করেন, তা হলে রাজ্যপালের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।

Advertisement
আরও পড়ুন