ওট্স দিয়েই বানিয়ে ফেলতে পারেন উপমা। ছবি: সংগৃহীত।
ওজন ঝরাতে চোখ বন্ধ করে ওট্সের উপর ভরসা রাখেন অনেকেই। রোগা হওয়ার ডায়েট ওট্স ছাড়া যেন অসম্পূর্ণ। দই দিয়ে হোক কিংবা সব্জি দিয়ে খিচুড়ি, রোগা হওয়ার ডায়েটে ওট্সের জনপ্রিয়তা কম নয়। উপকারিতাও যথেষ্ট। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার ও নানা ধরনের খনিজ উপাদান। সবচেয়ে বড় কথা, ওট্সে ক্যালোরি একেবারে নেই বললেই চলে। প্রাতরাশে অনেকেই ওট্স খান, তবে শরীর চাঙ্গা রাখতে রাতে ভাত-রুটির বদলেও ওট্স খেতে পারেন। কিন্তু একঘেয়ে ওট্সের পদ খেতে যদি ভাল না লাগে তা হলে কী করবেন? ওই একই উপকরণ দিয়ে অন্য রকম তিনটি পদ বানিয়ে ফেলতে পারেন। সন্ধান দিলেন রন্ধনশিল্পী কুণাল কপূর।
ওট্স ইডলি:
দু’কাপ ওট্স নিয়ে শুকনো প্যানে ভেজে নিন। এ বার মিক্সিতে ভাল করে গুঁড়ো করে নিন। কড়াইয়ে তেল দিয়ে সর্ষে, বিউলির ডাল ও ছোলার ডাল ফোড়ন দিন। এ বার পেঁয়াজ কুচি, গাজর কুচি, বিন্স কুচি এবং সামান্য নুন দিয়ে নাড়াচাড়া করে নিন। এ বার এই মিশ্রণ ওট্সের গুঁড়োর সঙ্গে মিশিয়ে তাতে এক কাপ দই দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। চাইলে ধনেপাতা ও কাঁচালঙ্কাও দিতে পারেন। এ বার ইডলির স্টিমারে ১৫ মিনিট স্টিম করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে ওট্স ইডলি।
ওট্স কুকিজ়:
কুকিজ় খেতে কম-বেশি সকলেই ভালবাসেন। চায়ের সঙ্গে নানা স্বাদের কুকিজ় খেতেও মন্দ লাগে না। চাইলে বাড়িতেও বানিয়ে নিতে পারেন ওট্সের কুকিজ়। মিক্সারে ১১০ গ্রাম মাখন, আধ কাপ ব্রাউন সুগার, ১টি কলা, ১/৪ কাপ ময়দা, ১ চা চামচ দারচিনি, ১ চা চামচ বেকিং সোডা এবং দেড় কাপ ওট্স মিশিয়ে একটি আঠালো মিশ্রণ বানিয়ে নিন। মিশ্রণটি থেকে কুকিজ়ের আকারে গড়ে মাইক্রোওয়েভ অভেনে ৮-১০ মিনিট বেক করে নিলেই তৈরি ওট্সের কুকিজ়।
ওট্স উপমা:
আধ কাপ ওট্স তেল বা ঘি ছাড়াই কড়াইয়ে সেঁকে নিন। সেঁকা হয়ে গেলে একটি প্লেটে ঢালুন। এ বার জল গরম করে কড়াইশুঁটি ও গাজর কুচি সেদ্ধ করে নিন। অন্য একটি কড়াইয়ে এক টেবিল চামচ ঘি দিন। ঘি গরম হলে তাতে গোটা সর্ষে, অড়হর ডাল, কারি পাতা, কাঁচালঙ্কা কুচি, হিং ফোড়ন দিন। এর মধ্যে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভাল করে নাড়তে থাকুন। পেঁয়াজ ভাজা ভাজা হয়ে এলে তাতে সেদ্ধ করা সব্জি আর নুন দিয়ে নাড়তে থাকুন। এ বার ওট্স মিশিয়ে তাতে ২ চামচ দই আর সামান্য জল দিয়ে ঢাকা দিয়ে দিন। লেবুর রস আর ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।