উত্তরপ্রদেশে ভারী বৃষ্টির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ১৭টি জেলার ৯০০টিরও বেশি গ্রাম। ছবি: পিটিআই ।
উত্তরপ্রদেশে ভারী বৃষ্টির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ১৭টি জেলার ৯০০টিরও বেশি গ্রাম। মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। বন্যায় ভেসে গিয়েছে মাঠভরা ফসল। সোমবার উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে জানানো হয়েছে এমনটাই।
এক সরকারি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তরপ্রদেশে বন্যার কারণে প্রায় সাড়ে ৮ লাখ মানুষের জীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছে। ঝাঁসিতে সোমবার বিকেলে বজ্রপাতের কারণে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের পাশাপাশি দেশের একাধিক রাজ্য বন্যায় বিপর্যস্ত। ভাসছে দক্ষিণের রাজ্যগুলিও। চেন্নাইয়ে পুলিশ এবং শহরের দমকল বিভাগ ইতিমধ্যেই দুর্গত মানুষদের উদ্ধার করার কাজ শুরু করেছে।
কর্নাটকের কোপ্পাল জেলাতেও বন্যার কারণে একাধিক রাস্তা বর্তমানে জলের তলায়।
Bareilly, UP | Crops destroyed, fields submerged after heavy rain lashes the district for several continuous days
— ANI UP/Uttarakhand (@ANINewsUP) October 12, 2022
We had loaned money to put our crops but all of it has been destroyed due to this unseasonal rain. We've lost all our money, have children at home: Rajeev, a farmer pic.twitter.com/bOD9ZpS86D
#WATCH | Road washed away due to heavy rainfall in the Koppal district of Karnataka (11.10) pic.twitter.com/0j3pOnWjg3
— ANI (@ANI) October 12, 2022
রাজধানী দিল্লিতেও বেড়েছে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। কমেছে তাপমাত্রা। বুধবারও দিল্লিতে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন।
দিল্লিতে অক্টোবরে মাসে এখনও পর্যন্ত ১২৮.২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা ১৯৫৬ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ। মৌসম ভবনের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৫৬ সালের অক্টোবরে শহরে ২৩৬.২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছিল। তার পর থেকে এই ৬৬ বছরে কোনও বছরের অক্টোবর মাসে এত বৃষ্টি হয়নি।
সিকিমে ভারী বৃষ্টি হওয়া নিয়ে একটি লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বুধবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং দার্জিলিংয়ে খুব ভারী বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।