জ্ঞানবাপী মসজিদ এবং কাশী বিশ্বনাথ মন্দির। ফাইল চিত্র।
জ্ঞানবাপী মসজিদের শৃঙ্গার গৌরীস্থলে পূজার্চনার অনুমতি চেয়ে দায়ের আবদনের শুনানি চার সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছিল ‘অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া (জ্ঞানবাপী) মসজিদ কমিটি’র তরফে। কিন্তু বৃহস্পতিবার বারাণসী জেলা আদালত সেই আর্জি খারিজ করে দিল। জেলা বিচারক অজয়কুমার বিশ্বেশ আগামী বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) থেকে মামলার শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
হিন্দু পক্ষের আইনজীবী বিষ্ণুশঙ্কর জৈন বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘আদালত নিযুক্ত সমীক্ষক দল জ্ঞানবাপীর ওজুখানার জলাধারে যে শিবলিঙ্গের অস্তিত্ব পেয়েছে, আমরা তার বয়স নির্ধারণের জন্য কার্বন ডেটিং পরীক্ষার আবেদন জানিয়েছি।’’ প্রসঙ্গত, বারাণসী দায়রা আদালতের বিচারক রবিকুমার দিবাকর নিযুক্ত পর্যবেক্ষক এবং ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ-এর সমীক্ষা এবং ভিডিয়োগ্রাফির প্রাথমিক রিপোর্টে জ্ঞানবাপীর ওজুখানায় যে তথাকথিত শিবলিঙ্গ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি উঠেছে, তা ইতিমধ্যেই খারিজ করে দিয়েছে মুসলিম পক্ষ। তাদের দাবি, সেটি আদতে একটি ফোয়ারার অংশ।
জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে ‘দেবদেবীর মূর্তি’ আছে দাবি করে সেগুলি পুজো করার অনুমতি চেয়ে ২০২১-এ আদালতে আবেদন করেছিলেন পাঁচ মহিলা। অন্য দিকে, মুসলিম পক্ষের যুক্তি ছিল, ১৯৯১ সালের ধর্মীয় উপাসনাস্থল রক্ষা (বিশেষ ব্যবস্থা) আইন অনুযায়ী এ সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি হতে পারে না। গত ১২ সেপ্টেম্বর বিচারক বিশ্বেশ মুসলিম পক্ষের যুক্তি খারিজ করে দিয়ে বলেন, ‘‘১৯৯১ সালের ধর্মীয় উপাসনাস্থল রক্ষা (বিশেষ ব্যবস্থা) আইন অনুযায়ী ধর্মস্থানের চরিত্র বদল করা যায় না। কিন্তু ওই আইনে কোথাও বলা নেই, ধর্মস্থানের প্রকৃত চরিত্র নির্ধারণ করা যাবে না।’’