গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
লোকসভায় রং বোমা হানার ঘটনার জেরে সংসদ চত্বরের নিরাপত্তা নিয়ে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ দেখালেন বিরোধী সাংসদেরা। অশান্তির জেরে মুলতুবি হয়ে গেল লোকসভা এবং রাজ্যসভার অধিবেশন। আর তার আগে ‘অসংসদীয় আচরণের’ অভিযোগে আবার সাসপেন্ড করা হল রাজ্যসভায় তৃণমূলের নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনকে। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় শীতকালীন অধিবেশনের জন্য তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনকে সাসপেন্ড করে দিলেন।
গত ২৮ মে বিপুল সমারোহে নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু সাত মাসের মাথাতেই যাবতীয় সুরক্ষার বেড়াজাল টপকে কী ভাবে চার বিক্ষোভকারী গ্যাস-ক্যানিস্টার নিয়ে ভবনের সংরক্ষিত এলাকায় পৌঁছে গেলেন, এমনকী তাঁদের মধ্যে দু’জন লোকসভার অধিবেশনে ঢুকে দর্শক আসন থেকে ফ্লোরে ঝাঁপ মারার সুযোগ পেলেন, তা নিয়ে লোকসভা এবং রাজ্যসভায় সরব হন বিরোধীরা জোট ‘ইন্ডিয়া’র সাংসদেরা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিবৃতি দাবি করে ওয়েলে নেমে স্লোগান তোলেন তাঁরা।
বিরোধীদের স্লোগানের জবাবে পাল্টা আওয়াজ ওঠে ট্রেজারি বেঞ্চ থেকেও। তুমুল অশান্তির জেরে মুলতুবি হয় দু’কক্ষের অধিবেশন। রাজ্যসভায় ধনখড়ের সঙ্গে বাক্যবিনিময় হয় ডেরেকের। ধনখড় ওয়েলে নেমে স্লোগান না তুলে আসনে ফেরার নির্দেশ দিলেও ডেরেক তা মানেননি। এর পর তৃণমূলের সাংসদকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘আপনি আমার চেয়ারকে অবমাননা করছেন। এমন আচরণে আমি স্তম্ভিত।’’ প্রসঙ্গত, গত অগস্টে রাজ্যসভার বাদল অধিবেশনের সময় ‘চেয়ারম্যানকে অসম্মান এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি’র অভিযোগে ডেরেককে সাসপেন্ড করেছিলেন ধনখড়। মোদী এবং শাহ বৃহস্পতিবার বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা-সহ দল ও মন্ত্রিসভার সিনিয়র সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে সংসদের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।