কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ফাইল ছবি।
সাধারণ কাশ্মীরিদের উপর আক্রমণ এবং সীমান্তে অনুপ্রবেশ বন্ধ না করলে আরও এক দফা সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের জন্য তৈরি থাকুক পাকিস্তান। মন্তব্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। পাকিস্তানকে তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘প্রথম সার্জিক্যাল স্ট্রাইক প্রমাণ করেছিল, আমরা এ সব বরদাস্ত করব না। এর থেকে শিক্ষা না নিলে এ রকম আরও হবে।’’ পাল্টা অমিত শাহকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। সৌগত রায়ের দাবি, পুলওয়ামায় হামলা রুখতে ব্যর্থ হয়েছিল মোদী সরকার।
বৃহস্পতিবার গোয়ার ধরবান্দোরায় জাতীয় ফরেন্সিক সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানেই প্রাক্তন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী তথা গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত মনোহর পর্রীকর সম্পর্কে বলতে গিয়ে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দেন অমিত।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং প্রাক্তন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী প্রয়াত মনোহর পর্রীকরের নেতৃত্বে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে আমরা এই বার্তাটুকু দিতে পেরেছিলাম যে, আমাদের সীমান্ত এলাকায় কাউকে বরদাস্ত করা হবে না। অনেক সময় কথায় সমস্যা মেটে, কখনও প্রয়োজন হয় প্রত্যুত্তরের।’’
উরি, পঠানকোট এবং গুরুদাসপুরে জঙ্গি হামলার প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের উপর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালায় ভারত। পাকিস্তানের ভূখণ্ডে একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি গুড়িয়ে দেয় ভারতের বোমারু বিমান। পাকিস্তান অবশ্য প্রকাশ্যে এই হামলার কথা স্বীকার করেনি।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক মন্তব্যে রাজনীতির জল ঘোলা শুরু হয়েছে। তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘‘যদি এখন ভারতে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে, তা হলে আবার সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের জন্য আমাদের সমর্থন থাকবে। ঠিক যেমন আগের বার হয়েছিল। কিন্তু তবুও প্রশ্ন থেকে যায়, পুলওয়ামা জঙ্গি হামলা কেন রুখতে পারলেন না মোদী-শাহরা? এটাই কি তাঁদের ব্যর্থতার অন্যতম নজির নয়?’’