Bihar Hooch Tragedy

বিষমদে আবার মৃত্যু বিহারে! পেটে যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে অন্তত ১২ জন, ছপরার পর সিওয়ান

বিহারে বিষমদ খেয়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্তত ১২ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশ। গ্রামে গ্রামে ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
পটনা শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৩ ০৯:০৯
বিহারে বিষাক্ত মদ খেয়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।

বিহারে বিষাক্ত মদ খেয়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রতীকী ছবি।

বিহারে আবার বিষমদের বলি। বিষাক্ত মাদক খেয়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। অসুস্থ অন্তত ১২ জন।

রবিবার বিহারের সিওয়ান এলাকায় পেটে যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এক ব্যক্তিকে। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এ ছাড়া, অন্য এক জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই তিনি মারা যান বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

মৃতেরা হলেন, জনক বিন ওরফে জনক প্রসাদ এবং নরেশ বিন। তাঁরা সিওয়ানের নবীগঞ্জের বালা গ্রামের বাসিন্দা। অভিযোগ, রবিবার সন্ধ্যায় জনক এবং নরেশ জানান, তাঁদের পেটে অসহ্য যন্ত্রণা হচ্ছে। আত্মীয়েরা হাসপাতালে নিয়ে যান দু’জনকেই। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।

গ্রামের জেলা কাউন্সিলর রমেশ কুমার জানান, বিষমদ খেয়ে ওই দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও অন্তত ১২ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশ। প্রশাসনের তরফে গ্রামে গ্রামে ক্যাম্পের আয়োজন করে বিষমদের বিরুদ্ধে প্রচার চালানো হচ্ছে।

গত মাসেই বিহারের দানাপুর এলাকা থেকে বহু লুকনো বিষমদের বোতল উদ্ধার করেছিল পুলিশ। সেই মদ উদ্ধারের আগে বিক্রি হয়ে গিয়েছিল কি না, তা থেকেই সিওয়ানের গ্রামে দু’জনের মৃত্যু হল কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

কিছু দিন আগে বিহারের ছপরায় বিষমদের বলি হয়েছিলেন প্রায় ৭০ জন। সেই ঘটনায় অন্যতম মূল চক্রীকে দিল্লি থেকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। তার পর বিষমদের জন্য এ বার শিরোনামে উঠে এল সিওয়ান।

২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার রাজ্যে মদ নিষিদ্ধ করে দেন। তার পর থেকে সেখানে বিষমদের রমরমা বেড়ে গিয়েছে বলে দাবি করেন কেউ কেউ। হামেশাই বিষমদ খেয়ে মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এসেছে বিহার থেকে।

আরও পড়ুন
Advertisement