পালনপুরে ভেঙে পড়া নির্মীয়মাণ সেতু। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
মোরবীর পরে এ বার পালনপুর। বছর ঘোরার আগেই আবার সেতু ভেঙে বিপর্যয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রাজ্যে। সোমবার উত্তর গুজরাতের বানসকাঁটা জেলার ওই শহরে একটি নির্মীয়মাণ সেতু ভেঙে অন্তত দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। আশঙ্কা, ধ্বংসস্তূপের তলায় চাপা পড়েছেন আরও কয়েক জন।
বানসকাঁটার জেলাশাসক বরুণকুমার বারণওয়াল মঙ্গলবার বলেন, ‘‘পালনপুর থানার অদূরে ৫৮ নম্বর জাতীয় সড়কের আরটিওর পাশে রেললাইনের উপর নির্মীয়মাণ সেতুর একটি খুঁটি এবং ছ’টি কংক্রিটের গার্ডার ভেঙে পড়ে।’’ তিনি জানান, দু’জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নীচে কেউ চাপা পড়ে রয়েছেন কি না, তার খোঁজ চলছে। সামাজিক মাধ্যমে ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে ওই দুর্ঘটনার একটি ভিডিয়ো (আনন্দবাজার অনলাইন যার সত্যতা যাচাই করেনি)। তাতে দেখা দেখা যাচ্ছে সেতু ভেঙে চালক ও আরোহী-সহ একটি অটোরিকশ এবং একটি ট্রাক্টর চাপা পড়ছে।
ভেঙে পড়া সেতুর নির্মাণের ক্ষেত্রে কোনও গাফিলতি বা দুর্নীতি ছিল কি না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। প্রসঙ্গত, গত বছরের অক্টোবরে সৌরাষ্ট্র অঞ্চলের মোরবীতে সদ্যনির্মিত একটি ‘ফুট ব্রিজ’ ভেঙে পড়েছিল। সংস্কারের জন্য দীর্ঘ দিন বন্ধ ছিল ব্রিটিশ আমলে তৈরি ওই সেতু। খোলার চার দিনের মাথায় ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর মাচ্ছু নদীর উপর তৈরি সেতুটি ভেঙে পড়ে। মারা যান ১৩৫ জন। দুর্ঘটনার সময় সেতুর উপর ছিলেন ৩০০ জন।
প্রাথমিক তদন্তের পর দাবি করা হয়, অত জনের ভার রাখতে পারেনি বলে পুরনো সেতুটি ভেঙে পড়েছিল। এর পরে তদন্তে জানা যায়, সেতুর সংস্কারে খামতি ছিল। সে কারণেই বিপর্যয়। সংস্কারের দায়িত্বে ছিল ওরেভা সংস্থা। যারা অজন্তা ব্র্যান্ডের ঘড়ি তৈরি করে। বিজেপি পরিচালিত মোরবী পুরসভা পুরনো সেতুটি সংস্কারের জন্য দু’কোটি টাকা বরাদ্দ করলেও বরাত পাওয়া সংস্থা মাত্র ১২ লক্ষ টাকা খরচ করে দায় সারে বলে অভিযোগ।