Assembly Elections 2024

‘নজরে’ তিনটি রাজ্যের বিধানসভা ভোট, বিজেপি নেতৃত্বের দু’দিনের বৈঠক শুরু হবে বৃহস্পতিতে

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, লোকসভা নির্বাচনের ফল দেখে সতর্ক নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, জেপি নড্ডারা আগেভাগেই প্রস্তুতিতে নেমে পড়েছেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০২৪ ২১:১৫
(বাঁ দিক থেকে) জেপি নড্ডা, নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ।

(বাঁ দিক থেকে) জেপি নড্ডা, নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ। ফাইল চিত্র।

আগামী বৃহস্পতিবার দিল্লিতে দু’দিনের বিশেষ বৈঠকে বসছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড এবং বিহারের কয়েক জন পদাধিকারীও তাতে অংশ নিতে পারেন বলে দলের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে। ওই তিন রাজ্যের বিধানসভা ভোটের কৌশল নির্ধারণ নিয়ে ওই বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে ওই সূত্র জানাচ্ছে।

Advertisement

চলতি বছরের অক্টোবরে হরিয়ানার সঙ্গে মহারাষ্ট্রে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা ভোট ডিসেম্বরে হতে পারে। বিহারে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা আগামী বছরের অক্টোবরে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে লোকসভা নির্বাচনের ফল দেখে সতর্ক নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, জেপি নড্ডারা আগেভাগেই প্রস্তুতিতে নেমে পড়েছেন। বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোটকে।

মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোটে পর্যবেক্ষক এবং সহ-পর্যবেক্ষক হিসাবে ইতিমধ্যেই নিয়োগ করা হয়েছে মোদী মন্ত্রিসভার দুই সদস্য ভূপেন্দ্র যাদব ও অশ্বিনী বৈষ্ণোকে। হরিয়ানার বিধানসভা ভোটে পর্যবেক্ষক এবং সহ-পর্যবেক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এবং ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সাংসদ বিপ্লব দেব। ঝাড়খণ্ডের পর্যবেক্ষক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান। তাঁর সহকারীর দায়িত্ব পেয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।

তা ছাড়া, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা ভোট করাতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। সে রাজ্যের বিধানসভা ভোটের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দায়িত্বে তেলঙ্গানার নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডিকে। লোকসভা ভোটে ঝাড়খণ্ড এবং বিহারে প্রতিপক্ষ জোট ‘ইন্ডিয়া’র তুলনায় এগিয়ে থাকলেও মহারাষ্ট্রে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ পিছিয়ে।

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজ্যের (জনসংখ্যার নিরিখে) ৪৮টি লোকসভা আসনের মধ্যে এ বার উদ্ধব ঠাকরেপন্থী শিবসেনা, শরদ পওয়াপন্থী এনসিপি এবং কংগ্রেসের জোট ‘মহাবিকাশ আঘাড়ী’ জিতেছে ৩০টিতে। শাসক ‘মহাদ্যুতি’ জোটের ঝুলিতে মাত্র ১৭। বিজেপি, মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা এবং অজিতপন্থী এনসিপির পাশাপাশি এনডিএ-তে ছিলেন রাষ্ট্রীয় সমাজ পক্ষের নেতা মহাদেব জানকর। পাশাপাশি রাজ ঠাকরের নেতৃত্বাধীন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (এমএনস)-ও সমর্থন জানিয়েছিল এনডিএ-কে। তবুও বিপর্যয় এড়ানো যায়নি।

Advertisement
আরও পড়ুন