Split in NDA

আরএসএসের বার্তা পেয়ে অজিত পওয়ারকে দূরে ঠেলছে বিজেপি? জল্পনা শুরু মহারাষ্ট্র রাজনীতিতে

লোকসভা ভোটে মহারাষ্ট্রে এনডিএ-র সার্বিক খারাপ ফলের জন্য অজিতের এনসিপি-র সঙ্গে বিজেপি নেতৃত্বের হাত মেলানোকে সম্প্রতি দায়ী করা হয়েছে আরএসএস মুখপত্রে লেখা একটি নিবন্ধে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৪ ০৯:৪৭
(বাঁ দিক থেকে ) দেবেন্দ্র ফডণবীস, একনাথ শিন্ডে এবং অজিত পওয়ার।

(বাঁ দিক থেকে ) দেবেন্দ্র ফডণবীস, একনাথ শিন্ডে এবং অজিত পওয়ার। — ফাইল চিত্র।

লোকসভা ভোটের পরে টানাপড়েন শুরু হয়েছিল। এ বার রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) আপত্তির জেরে মহারাষ্ট্রে শাসকজোট ‘মহাদ্যুতি’ থেকে অজিত পওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপিকে সরিয়ে দিচ্ছে বলে জল্পনা শুরু হল। এনসিপির প্রতিষ্ঠাতা তথা অজিতের কাকা শরদ পওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপি (এস)-র তরফে এই দাবি করা হয়েছে।

Advertisement

লোকসভা ভোটে মহারাষ্ট্রে এনডিএ-র সার্বিক খারাপ ফলের জন্য অজিতের এনসিপি-র সঙ্গে বিজেপি নেতৃত্বের হাত মেলানোকে সম্প্রতি দায়ী করা হয়েছে আরএসএস মুখপত্রে লেখা একটি নিবন্ধে। মহারাষ্ট্রে ৪৮টি আসনের মধ্যে এনডিএ পেয়েছে ১৭টি আসন। বিজেপি সাতটি, দুই শরিক শিবসেনা (শিন্ডে) এবং এনসিপি (অজিত) গোষ্ঠী যথাক্রমে জিতেছে ন’টি ও একটি আসন। পাঁচ বছরের আগের ফল থেকে প্রায় দু’ডজন আসন কম পেয়েছে এনডিএ জোট। এই পরিস্থিতিতে আরএসএসের মুখপত্রের দাবি, অহেতুক রাজনীতির ঘুঁটি সাজাতে গিয়ে দল ভাঙানো মহারাষ্ট্রে বিজেপির ক্ষেত্রে হিতে বিপরীত হয়েছে।

সে রাজ্যে বিজেপি-শিবসেনা সরকারের প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও এনসিপি-তে ভাঙন ধরানো হয়। যার ফলে অজিত পওয়ার এনডিএতে যোগ দেন। সঙ্ঘের অভিযোগ, অজিতের এনডিএতে অন্তর্ভুক্তির ফলে বিজেপির পুরনো কর্মীরা মনঃক্ষুণ্ণ হন। কারণ, তাঁরা বরাবরই কংগ্রেসের ভাবধারার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে এসেছেন। (কংগ্রেসি ভাবধারার নেতা) অজিতের এনডিএতে যোগদানে ‘ব্র্যান্ড বিজেপি’ বাজারদরও নেমে যায়। তা ছাড়া, ভোটের আগে এনডিএতে যোগ দেওয়া নেতাদের বিরুদ্ধে যে নানা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, সে কথাও লেখা হয় সঙ্ঘের মুখপত্রে।

মহারাষ্ট্র বিধানসভায় মোট বিধায়কের সংখ্যা ২৮৮। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জাদু সংখ্যা ১৪৫। বিজেপির ১০‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌৩ এবং শিন্ডেসেনার ৩৮ জন বিধায়ক রয়েছেন। পাশাপাশি, বহুজন বিকাশ আঘাড়ীর ৩, প্রহার জনশক্তি পার্টির ২ এবং মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা, রাষ্ট্রীয় সমাজ পক্ষ, জেএসএসের এক জন করে বিধায়ক এবং ১৪ নির্দলের সমর্থনও রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের সরকারের পাশে। এই পরিস্থিতিতে অজিতের ৪০ জন বিধায়ককে বাদ দিলেও গরিষ্ঠতা হারাবেন না শিন্ডে। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের জুলাইয়ে ভাইপো অজিত কাকা শরদের দল ভেঙে বিজেপি-শিন্ডেসেনার সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন। শিন্ডে সরকারে বিজেপি নেতা দেবন্দ্র ফডণবীসের পাশাপাশি তিনিও পেয়েছিলেন উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ। এ বার কি তা অনিশ্চিত হয়ে পড়ল?

আরও পড়ুন
Advertisement