অশান্তি ঠেকাতে তৎপর ত্রিপুরা পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত।
বাংলাদেশে কুমিল্লা-কাণ্ডের জেরে ত্রিপুরায় মুসলিমদের কোনও ধর্মস্থানে অগ্নিসংযোগ করা হয়নি বলে দাবি করল সে রাজ্যের পুলিশ। এ বিষয়ে নেটমাধ্যমে ভুয়ো ছবি প্রচার করে উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে বলেও বৃহস্পতিবার ত্রিপুরা পুলিশের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছে।
গত বুধবার উত্তর ত্রিপুরা জেলার পানিসাগরে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের একটি মিছিল ঘিরে অশান্তি হয়েছিল। সে সময়ই মুসলিমদের ধর্মস্থানে হামলা এবং অগ্নিসংযোগের অভিযোগ ওঠে। বৃহস্পতিবার ত্রিপুরা পুলিশ টুইটার বিবৃতিতে জানিয়েছে, ওই এলাকায় মুসলিমদের ধর্মস্থান অক্ষত এবং সুরক্ষিত রয়েছে।
1/2
— Tripura Police (@Tripura_Police) October 27, 2021
During yesterday's protest rally in Panisagar, North Tripura, no masjid was burnt and the pictures being shared of burning or damaged masjid or collection of sticks etc are all fake and are not from Tripura. They may be of some countries.#Tripura
রাজ্যবাসীর কাছে শান্তি সম্প্রীতি বজায় রাখারও আবেদন জানিয়েছে ত্রিপুরা পুলিশ। তবে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সরকার সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ধর্মনগর-সহ কিছু এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
দুর্গাপুজোর সময় কুমিল্লার একটি মণ্ডপে পবিত্র কোরানের অবমাননার অভিযোগ ঘিরে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দুদের উপর হামলা হয়েছিল। তার জেরে বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য ত্রিপুরাতেও উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, কুমিল্লার একটি মাজার থেকে পবিত্র কোরান নিয়ে গিয়ে দুর্গামণ্ডপে রেখেছিলেন স্থানীয় সুজানগরের বাসিন্দা ইকবাল হোসেন। তাঁকে গ্রেফতারও করে বাংলাদেশ পুলিশ।