জনজাতি ছাত্র সংগঠনের বিক্ষোভ ঘিরে আগরতলায় পুলিশি তৎপরতা। ছবি: পিটিআই।
বাংলা নয়, জনজাতিদের ভাষা ককবরকের জন্য চাই রোমান লিপি। এই দাবিতে জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘তুইপ্রা স্টুডেন্টস ফেডারেশন’ (টিএসএফ)-এর ১২ ঘণ্টার ধর্মঘট ঘিরে সোমবার অশান্তি ছড়াল রাজধানী আগরতলা-সহ ত্রিপুরার বিভিন্ন জেলায়। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ এবং পথ অবরোধের ঘটনা ঘটেছে দফায় দফায়। পুলিশ সূত্রের খবর, গ্রেফতার করা হয়েছে টিএসএফ-এর শতাধিক নেতা-কর্মীকে।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘নর্থ ইস্ট স্টুডেন্টস অর্গানাইজ়েশন’ (এনইএসও)-এর তরফেও সোমবারের ধর্মঘটকে সমর্থন জানানো হয়েছে। অবিলম্বে সংসদে সংবিধানের ১২৫তম সংশোধনী বিল পাশ করিয়ে রোপান লিপিতে ককবরক ভাষা চালুর দাবি করা হয়েছে। জনজাতি অধ্যুষিত ‘ত্রিপুরা ট্রাইবাল এরিয়াস অটোনমাস ডিসট্রিক্ট কাউন্সিল’ (এডিসি) এলাকায় ধর্মঘটের প্রভাব ছিল সর্বাত্মক। টিএসএফের সাধারণ সম্পাদক হামাল জামাতিয়া বলেন, ‘‘আমরা দু’মাস আগে রাজ্য সরকারের কাছে রোমান লিপির দাবিতে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছিলাম, কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনও ইতিবাচক উত্তর পাইনি।’’ প্রসঙ্গত, গত ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠনের বিক্ষোভ ঘিরেই হিংসা ছড়িয়েছিল উত্তর-পূর্বের আর এক বিজেপি শাসিত রাজ্য মণিপুরে।
আগামী ৫ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের ধূপগুড়ির সঙ্গে ত্রিপুরার জোড়া বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হবে। তার আগে জনজাতি বিক্ষোভের জেরে শাসক বিজেপির উপর চাপ বাড়ল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। প্রসঙ্গত, রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল, জনজাতি সংগঠন তিপ্রা মথা ইতিমধ্যেই ধনপুর এবং বক্সনগর বিধানসভার উপনির্বাচনে প্রার্থী না দিয়ে সিপিএম প্রার্থীদের সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছে। ত্রিপুরায় বামেদের সহযোগী কংগ্রেসের বিধায়ক গোপাল রায় সোমবার বলেন, ‘‘ত্রিপুরার স্বীকৃত ভাষা ‘ককবরক’। রাজ্যের এক তৃতীয়াংশ মানুষ এই ভাষায় কথা বলেন। ত্রিপুরা সরকারের উচিত ককবরকে আগও গুরুত্ব দেওয়া। এডিসি এলাকার অনেক বিদ্যালয়ে ককবরক শিক্ষকের পদ ফাঁকা পড়ে রয়েছে।’’