পঞ্চাশেই শরীর অশক্ত হয়ে পড়তে পারে কোন ভুলে? ছবি:ফ্রিপিক।
বয়স পঞ্চাশের কোঠায়। এই বয়সে ত্বক কুঁচকে যাবে, বলিরেখা পড়বে, হাড়ের জোর কমবে, অনেকেই বলবেন, সেটাই স্বাভাবিক। বয়স বাড়লে, শরীর জানান দেবে। কিন্তু পঞ্চাশ ছুঁইছুঁই হলেই কি এই সমস্ত লক্ষণ কি অনিবার্য? অনেকেই কিন্তু বয়সকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে পঞ্চাশেও দিব্যি ফিট।
বলি অভিনেত্রী শিল্পা শেট্টির কথাই ধরা যাক। ৪৯-বছরের নায়িকাকে দেখলে মনে হবে এখনও যেন তরুণী। বয়সে অর্ধ শতক কবেই পার করেছেন, কিন্তু মাধুরী দীক্ষিতের চটক কমেনি। কেউ বলতেই পারেন, তাঁরা অভিনেত্রী। তারকাদের সঙ্গে কি সাধারণ মানুষের জীবনের তুলনা চলে! তুলনা না টানলেও, দৈনন্দিন সু-অভ্যাস যেমন তারুণ্যের চাবিকাঠি হতে পারে, তেমনই কয়েকটি ভুল বিপদ ডেকে আনতে পারে।
খাওয়া: বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে খাদ্যতালিকাতেও বদল দরকার। কেউ এই সময় প্রোটিন খাওয়া কমিয়ে দেন। অনেকে পু্ষ্টির দিকে নজর দেন না। কিন্তু শিল্পা শেট্টি থেকে শুরু করে বি-টাউনের অনেক তারকাই বলেন, সুস্থ থাকতে এবং সুন্দর চেহারা ধরে রাখতে হলে, সঠিক খাবার বেছে নেওয়া জরুরি। প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, হেলদি ফ্যাট শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী খেতে হবে। দরকারে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিতে পারেন।
শরীরচর্চা: অনেকেই শরীরচর্চার ধার দিয়েও যান না। পঞ্চাশে পৌঁছে সুস্থ, কর্মঠ থাকতে হলে নিয়মিত শরীরচর্চা জরুরি। হাঁটাহাটির পাশাপাশি, ব্যায়াম, প্রাণায়াম, এমনকি ওজন নিয়ে ঘাম ঝরালেও ভাল ফল মিলতে পারে। তবে যে কোনও শরীরচর্চার আগেই চিকিৎসক বা ফিটনেস প্রশিক্ষকের পরামর্শ নেওয়া দরকার।
মানসিক স্বাস্থ্যের অবহেলা: ঘর-সংসার, কর্মজগতের চাপে হাঁপিয়ে ওঠেন অনেকেই। শরীরের পাশাপাশি মনেরও অসুখ করতে পারে, মনেরও যত্ন নেওয়া দরকার, ভুলে যান কেউ কেউ। না বলতে পারা কথা, অবসাদ, উদ্বেগের মতো সমস্যা থাকলে, তার সমাধানে কাউন্সেলিং করাতে পারেন।
ভাজাভুজি: অনেকেরই খাওয়ার বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ থাকে না। খেতে যা ভাল লাগছে, সেটাই খেয়ে যান। ভাজাভুজি, তেল-মশলাদার খাবার, অতিরিক্ত চিনি এবং নুন যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল। অস্বাস্থ্যকর খাবার শরীরের ক্ষতিই করে না, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের ফলে কম বয়সেই বুড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দিতে পারে।
ঘুম: সংসার, অফিস, সন্তান পালন করতে গিয়ে ঘুমটাই অসম্পূর্ণ রয়ে যায়। দিনের পর দিন ঘুম কম হলে শুধু স্বাস্থ্য নয়, ত্বকেও তার প্রভাব পড়তে বাধ্য। ঘুম ঠিকঠাক না হলে শরীরে হরমোন ক্ষরণের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। হজমে ব্যাঘাত হতে পারে। ফলে পঞ্চাশেও সুস্থ, সবল থাকতে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমের দরকার।