—প্রতীকী ছবি।
এনডিএ-র পুরনো শরিক এবং বর্তমানে একটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক দল আগামী দিনে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’য় শামিল হতে পারে। আগামী ৩১ অগস্ট ও ১ সেপ্টেম্বর মুম্বইতে ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকের আগে আজ কংগ্রেস দাবি করেছে, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র অন্তত চার থেকে পাঁচটি দল ‘ইন্ডিয়া’র নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগে রাখছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ভবিষ্যতে ‘ইন্ডিয়া’য় যোগ দেবে। কংগ্রেস সূত্রের খবর, এ ছাড়াও এনডিএ-র একটি পুরনো শরিক দলও রয়েছে।
বেঙ্গালুরুতে ‘ইন্ডিয়া’ র বৈঠকের সময়ই দিল্লিতে ৩৮টি দলকে নিয়ে এনডিএ-র বৈঠক ডাকা হয়েছিল। কংগ্রেস দাবি করেছে, এই ৩৮টি দলের থেকেই ৪-৫টি দল ‘ইন্ডিয়া’র সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। কংগ্রেস মুখপাত্র অলোক শর্মা এই দাবি করার পরে পটনায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও বলেছেন, বেশ কিছু নতুন দল ‘ইন্ডিয়া’য় যোগ দেবে। বেঙ্গালুরুতে ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকে ২৬টি দল যোগ দিয়েছিল। মুম্বইয়ের বৈঠকে স্বাভিমানী শেতকারী সংগঠন যোগ দিতে চলেছে। আরও আটটি দল যোগ দিতে চাইছে এই বিরোধী জোটে। সূত্রের খবর, এর মধ্যে অসমের তিনটি, উত্তরপ্রদেশের তিনটি ও পঞ্জাবের দু’টি দল রয়েছে। মুম্বইয়ের বৈঠকে ‘ইন্ডিয়া’র সমন্বয়ের জন্য একটি ১১ সদস্যের কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। কাকে জোটের আহ্বায়ক করা হবে, তা নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। এত দিন জেডিইউ নেতা নীতীশের নামই আহ্বায়ক হিসেবে ভাসছিল। এক দিকে অশোক গহলৌতের মতো প্রবীণ কংগ্রেস নেতা বলেছেন, কংগ্রেসের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী রাহুল গান্ধীই।
অন্য দিকে, জেডিইউ নেতারা বলছেন, বিহার-উত্তরপ্রদেশের মানুষ নীতীশকে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চান। নীতীশ আজ পটনায় বলেছেন, “আমি ব্যক্তিগত ভাবে কিছু চাই না। সকলকে এককাট্টা করতে চাই। আরও কিছু দল জোটে যোগ দিতে চলেছে।”
লোকসভা ভোটে বিরোধী দলগুলির মধ্যে রাজ্য স্তরে কী ভাবে আসন সমঝোতা হবে, তা নিয়ে আলোচনা শুরুর জন্য মুম্বইয়ের বৈঠকে উপকমিটি তৈরির ভাবনা রয়েছে। ছত্তীসগঢ়, মধ্যপ্রদেশের মতো আপ বিহারেও ভোটে লড়বে। নীতীশ আজ বলেছেন, এই আসন বণ্টন নিয়ে দ্রুত আলোচনা শুরু করা দরকার। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী তথা ডিএমকে প্রধান এম কে স্ট্যালিন আজ বলেন, ‘‘মুম্বইয়ের বৈঠকে ইন্ডিয়ার ভবিষ্যতের রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হবে।’’