গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের মামলা নতুন মোড় নিল। নরেন্দ্র মোদী সরকারের ৩৭০ এবং ৩৫-এ ধারা বাতিলের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে আবেদনকারী এক কলেজ শিক্ষককে কেন সাসপেন্ড করা হল, সে বিষয়ে ওই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিংহের জবাব চাইল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধান পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চের নির্দেশ, মনোজের মত জেনে এ বিষয়ে শীর্ষ আদালতকে অবহিত করবেন কেন্দ্রীয় সরকারের কৌঁসুলি।
গত বুধবার শীর্ষ আদালতে ৩৭০ ধারা বাতিলের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দা, পেশায় রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক জহুর আহমেদ ভট। শুক্রবারেই তাঁকে সাসপেন্ড করে জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের শিক্ষা দফতর। বিধানসভা ভোট না হওয়ায় বর্তমানে ওই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকারের দায়িত্ব লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজের হাতে। তাই জহুরের অভিযোগের প্রেক্ষিতে জম্মু ও কাশ্মীরের সাংবিধানিক এবং সরকার প্রধানের মত জানতে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
জম্মু ও কাশ্মীর শিক্ষা দফতর শুক্রবার জহুরকে সাপপেন্ড করার যে নির্দেশিকা জারি করেছিল তাতে বলা হয়, ‘জম্মু ও কাশ্মীর সিভিল সার্ভিস রেগুলেশন’, জম্মু ও কাশ্মীর সরকারি কর্মচারী আচরণবিধি এবং জম্মু ও কাশ্মীরের সরকারি কর্মীদের ছুটি সংক্রান্ত বিধি লঙ্ঘনের জন্য জহুরকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁকে আপাতত ওই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের স্কুল শিক্ষা দফতরে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে ওই নির্দেশিকায়। উপত্যকার বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নিতেই উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ মনোজের নেতৃত্বাধীন জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের এই পদক্ষেপ। সরকারি কর্মীদের ছুটি সংক্রান্ত বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ খারিজ করে আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, ‘‘নিয়ম মেনে দু’দিনের ছুটি নিয়ে শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন কলেজ শিক্ষক জহুর।’’