পুরীর জগন্নাথ মন্দির। ফাইল চিত্র।
বড়দিনের ছুটিতে পর্যটকদের ভিড়ে ঠাসা পুরী। কিন্তু বর্ষশেষের রাত এবং বর্ষবরণের দিন সেই ভিড় যে দ্বিগুণ হতে পারে তা আঁচ করেই পুরীর নিরাপত্তা আঁটসাঁট করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, উৎসবের এই মরসুমে ভিড় যাতে মসৃণ ভাবে সামলানো যায়, তার জন্য ট্র্যাফিক সংক্রান্ত একগুচ্ছ নির্দেশিকাও জারি করেছে জেলা প্রশাসন। ফলে ওই সময়ে পুরী যাঁরা যাবেন ঠিক করেছেন, তাঁদের জ্ঞাতার্থে আগেভাগেই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থেই এই আয়োজন বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।
আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সৈকতশহরের পুরোটাই সিসিটিভির নজরদারিতে আনা হচ্ছে। বর্ষশেষের রাত এবং বছরের প্রথম দিন যাতে যানজট না হয়, তার জন্য বেশ কয়েকটি নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। ওই নির্দেশিকা অনুযায়ী, ভুবনেশ্বর থেকে পুরীতে যে সব গাড়ি আসবে সেগুলিকে জোল রোডে পার্ক করাতে হবে। আবার যাঁরা কোনার্ক হয়ে শহরে প্রবেশ করছেন তাঁদের জন্য তালাবানিয়ায় গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
যাঁরা ব্রহ্মগিরির দিক থেকে আসছেন, তাঁদের জন্য গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে স্টারলিং বা যাত্রিকার কাছে। জগন্নাথ মন্দির, সৈকত এবং মার্কেট স্কোয়্যারে যাতে যান চলাচলের জেরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়, তাই ওই সব এলাকায় কোনও চারচাকার গাড়ি ঢুকতে দেওয়া হবে না। পর্যটকেরা যাতে ভাল ভাবে জগন্নাথ মন্দির দর্শন করতে পারেন তাই মন্দির চত্বর এবং আশপাশের জায়গায় বিশেষ ব্যবস্থা থাকছে। সমুদ্রে এই সময় পর্যটকদের যথেষ্ট ভিড় থাকে। সমুদ্রে স্নান করতে গিয়ে যাতে কোনও রকম দুর্ঘটনা না ঘটে, তার জন্য সৈকতে সর্বদা নজরদারি চালানো হবে। রাতেও চলবে টহলদারি।
পুরীর পুলিশ সুপার বিনীত আগরওয়াল জানিয়েছেন, মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালালে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। বিপুল ভিড়ের আশঙ্কা করে মার্কেট চওক পর্যন্ত ব্যারিকেড করা থাকবে। মেডিক্যাল চক থেকে জগন্নাথ মন্দির এবং মেডিক্যাল চক থেকে লাইট হাউস পর্যন্ত কোনও গাড়ি চলার অনুমতি দেওয়া হবে না ৩১ ডিসেম্বর এবং ১ জানুয়ারি এই দু’দিন।