— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষ্ণা জেলার একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ঘটনায় শনিবারও বিক্ষোভ অব্যাহত। তার মাঝেই পুলিশ সুপার দাবি করলেন, শৌচাগারে কোনও গোপন ক্যামেরা ছিল না। পুলিশকর্তার এই মন্তব্যের পরেই বিক্ষুব্ধ ছাত্রীরা শুরু করেছেন আর এক দফা আন্দোলন।
বৃহস্পতিবার ওই কলেজের ছাত্রীরা অভিযোগ করেন, হস্টেলে ছাত্রীদের স্নানঘরে লুকোনো ছিল ক্যামেরা। দীর্ঘ দিন ধরে চলছিল ছবি এবং ভিডিয়ো রেকর্ডিং। সে দিনই সন্ধ্যায় এক ছাত্রী লুকোনো ক্যামেরাটি দেখতে পেয়ে হইচই জুড়ে দিলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এ নিয়ে শুক্রবারও চলেছে বিক্ষোভ। উঠেছে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগানও। ছাত্রীদের একাংশের দাবি, ওই কলেজেরই বেশ কয়েক জন ছাত্র এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত। গোপন ক্যামেরায় তোলা একান্ত মুহূর্তের সে সব ছবি এবং ভিডিয়ো বিক্রি করা হত বলেও অভিযোগ। ইতিমধ্যেই সন্দেহভাজন এক ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ধৃতের ল্যাপটপ এবং মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তবে কোনও ভিডিয়ো মেলেনি। শৌচাগারে গিয়ে পাওয়া যায়নি গোপন ক্যামেরাও। এমনটাই দাবি পুলিশ সুপার গঙ্গাধর রাওয়ের। তিনি বলেছেন, ‘‘ছাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। তবে এখনও পর্ষন্ত কোনও প্রমাণ মেলেনি।’’ আর এতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন আন্দোলনরত ছাত্রীরা। তাঁদেরই এক জন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘এত দিন হয়ে গেল, পুলিশ, কর্তৃপক্ষ কী করছে? এখন তারা বলছে আমরা মিথ্যা বলছি, ভুয়ো অভিযোগ তুলছি। আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে।’’
ঘটনার পর স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশ মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন গাজ্জালা ভেঙ্কটলক্ষ্মী। শনিবার ক্যাম্পাস পরিদর্শনেও যাচ্ছেন তিনি। কড়া পদক্ষেপ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী নারা লোকেশও। প্রসঙ্গত, চলতি মাসেই অন্ধ্রের পড়শি রাজ্য কর্নাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুর একটি ক্যাফেতে মহিলাদের শৌচাগারে গোপন ক্যামেরার সন্ধান মেলার পর উত্তেজনা ছড়িয়েছিল।