কটনা জিআরপি থানার সেই দৃশ্য। ছবি: এক্স।
রেলওয়ে থানার (জিআরপি) ভিতরেই এক দলিত মহিলা ও তাঁর ছেলেকে নির্মমভাবে মারধর করছে পুলিশ। এমনই একটি ভিডিয়ো সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে (যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)। ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই উঠেছে সমালোচনার ঝড়।
প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের কটনি রেল স্টেশনে। ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন পুলিশের অতিরিক্ত সুপার সন্তোষ দেহরিয়া। তিনি সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, ‘‘সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিয়োটি দেখে মনে হচ্ছে, ঘটনাটি ঘটেছে কটনি জিআরপিতে। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে এক মহিলা ও তাঁর নাবালক ছেলেকে মারধর করা হচ্ছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অভিযোগ দায়ের করলে ঘটনার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হবে।’’
পুলিশ সুপার জানাচ্ছেন, ঘটনাটি ২০২৩ সালের অক্টোবরের। ভিডিয়োয় যে মহিলা ও ছেলেকে দেখা যাচ্ছে, তাঁরা দীপক নামে এক অপরাধীর আত্মীয়। দীপকের বিরুদ্ধে কটনি রেল পুলিশের কাছে ১৯টি মামলা রয়েছে। অভিযোগ, গত বছর চুরি করে ফেরার হয়ে যায় সে। তখন না কি তাকে খুঁজে দেওয়ার জন্য ১০ হাজার টাকা পুরস্কার মূল্যও ঘোষণা করেছিল পুলিশ। ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে আসার পরেই কটনি স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিককে অপসারণ করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য শীঘ্রই কোনও উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিককে সেখানে পাঠানো হবে।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর বিজেপি সরকারের নিন্দায় সরব হয়েছে সে রাজ্যের বিরোধী শিবির। মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি জিতু পাটোয়ারি সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, দলিতদের উপর অত্যাচার উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। অনগ্রসর শ্রেণি ও জাতিগোষ্ঠীর মানুষকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে বিজেপি। এই ঘৃণার রাজনীতি শেষ হওয়া দরকার।’’