বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। —ফাইল চিত্র।
বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে বিমানে ভারতে পৌঁছেছিলেন, মঙ্গলবার সকালে তা পরবর্তী গন্তব্যের উদ্দেশে উড়ে গিয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, সকাল ৯টা নাগাদ বিমানটি গাজ়িয়াবাদের হিন্ডন এয়ারবেস থেকে রওনা দিয়েছে। পরে এএনআই জানায়, বিমানটি বাংলাদেশের এয়ারবেসে ফিরে গিয়েছে। বাংলাদেশ সেনার সাত আধিকারিক তাতে ছিলেন। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে ভারতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলি।
বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতেই এসেছিলেন হাসিনা এবং তাঁর বোন রেহানা। সোমবার তাঁর বিমান নামে গাজ়িয়াবাদের হিন্ডন এয়ারবেসে। সূত্রের খবর, সেখানেই রাতে ছিলেন হাসিনা। আগামী কয়েক দিনও সেখানেই থাকতে পারেন তিনি। এখনও পর্যন্ত কোনও পক্ষ আনুষ্ঠানিক ভাবে এ বিষয়ে কিছু জানায়নি।
অসমর্থিত সূত্রের খবর, বাংলাদেশ ছেড়ে লন্ডনে যেতে চেয়েছেন হাসিনা। কিন্তু ব্রিটেন থেকে এখনও সবুজ সঙ্কেত মেলেনি। সেই কারণেই আরও কিছু দিন তাঁকে ভারতে থাকতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্রের আরও দাবি, ব্রিটেন ‘না’ করে দিলে কোথায় যাবেন, তা-ও ভেবে দেখছেন হাসিনা। লন্ডনে না গেলেও ইউরোপেই থাকতে চান তিনি। অন্য কোন দেশে আশ্রয় নেওয়া যেতে পারে, আপাতত ভারতে থেকেই তা বিবেচনা করে দেখছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, হাসিনার পুত্র সাজিব ওয়াজেদ জয় আমেরিকায় থাকেন। তাঁর কন্যা সাইমা ওয়াজেদ থাকেন দিল্লিতে। তবে হাসিনার বোন রেহানার ব্রিটেনের নাগরিকত্ব রয়েছে। তাঁর কন্যা ব্রিটেনের সংসদের সদস্য। ফলে রেহানার ব্রিটেনে যেতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। মনে করা হচ্ছে, তিনি আগেই ব্রিটেনে চলে যাবেন। তবে হাসিনা কী করবেন, এখনও স্পষ্ট নয়।
লাগাতার সরকার বিরোধী আন্দোলনের মাঝে সোমবার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন হাসিনা। কপ্টারে করে বাংলাদেশ ছেড়েছেন তিনি। বাংলাদেশে আপাতত সেনার শাসন চলছে। দায়িত্ব নিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ়-জ়ামান। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিরোধী নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। এই পরিস্থিতিতে সোমবার ঢাকায় হাসিনার আবাস ‘গণভবনে’ ঢুকে পড়েছিলেন শয়ে শয়ে মানুষ। সেখানে লুটপাট হয়। এমনকি, হাসিনার বাবা তথা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মূর্তিও ভেঙে দেয় উত্তেজিত জনতা।