কাশ্মীরে ভারতীয় সেনা। ফাইল চিত্র।
আফগানিস্তানে গত এক মাসে দ্রুত দখলদারি বেড়েছে তালিবানের। আর ঘটনাচক্রে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরে বেড়েছে জঙ্গি হামলার ঘটনা। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (আইবি)-র একটি সূত্র জানাচ্ছে, এই মুহূর্তে কাশ্মীরে ছ’টি জঙ্গিগোষ্ঠী সক্রিয়। গত এক মাসে ২৫-৩০ জন জঙ্গি ছোট-বড় হামলা চালিয়েছে উপত্যকার বিভিন্ন প্রান্তে।
আমেরিকার সেনা প্রত্যাহারের জুনের শেষ পর্বেই পাকিস্তান সীমান্ত ঘেঁষা আফগান প্রদেশগুলির দখল নিয়েছিল তালিবান বাহিনী। সে সময় থেকেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) লাগোয়া জঙ্গি শিবিরগুলিতে নতুন করে ‘তৎপরতা’ শুরু হয় বলে আইবি-র এক আধিকারিক জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘এখন নিয়ন্ত্রণরেখার লঞ্চিং প্যাডগুলিতে পাকিস্তানে প্রশিক্ষিত অন্তত ৩০০ জঙ্গি ভারতে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে।’’
সম্প্রতি নেটমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োয় (যার সত্যতা আনন্দবাজার অনলাইন যাচাই করেনি) দেখা গিয়েছে কাবুল জয়ের পরে আফগানিস্তান যুদ্ধে অংশ নেওয়া লস্কর-ই-তইবা, জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিরা পাক অধিকৃত কাশ্মীরের রাজধানী মুজফ্ফরাবাদে ফিরেছে। সেখানে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিজয় উৎসব পালন করছে তারা।
পাকিস্তানের বিভিন্ন নেটমাধ্যমে ধারাবাহিক ভাবে তালিবানের পক্ষে প্রচারও চলছে। যা দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে কাশ্মীরের যুবসমাজের একাংশের মধ্যে ‘জিহাদে’ অংশ নেওয়ার প্রবণতা বাড়বে বলে আশঙ্কা ওই গোয়েন্দা আধিকারিকের। ইতিমধ্যেই কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ৬০ জন যুবক ‘নিখোঁজ’ হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। তাদের গন্তব্য পাক জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।