Taslima Nasrin

‘পঙ্গু মানুষের জীবন দেওয়া হল’! হাসপাতালে শুয়েই শল্য চিকিৎসককে দুষলেন অসুস্থ তসলিমা

ভুল চিকিৎসার কারণে স্থায়ী ভাবে পঙ্গু হতে চলেছেন তিনি। বুধবার ফেসবুক পোস্টে এমনই বার্তা দিলেন তসলিমা নাসরিন। তাঁর অভিযোগ, ওই শল্য চিকিৎসক কার্যত জোর করে তাঁর ‘হিপ রিপ্লেসমেন্ট’ করেছেন।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৩ ২২:২৫
হাসপাতালে শুয়ে তসলিমা।

হাসপাতালে শুয়ে তসলিমা। ফাইল চিত্র।

মৃত্যুচিন্তা নয়, শল্য চিকিৎসকের ভুলেই স্থায়ী ভাবে পঙ্গু হতে চলেছেন তসলিমা নাসরিন! বুধবার ফেসবুক পোস্টে এমন কথাই লিখেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, ওই শল্য চিকিৎসক কার্যত জোর করে তাঁর ‘হিপ রিপ্লেসমেন্ট’ করেছেন। আর তার ফলেই কার্যত চলচ্ছক্তিহীন হয়ে পড়েছেন তিনি। লেখিকার আক্ষেপ— ‘‘এ কেমন জীবন আমাকে দেওয়া হলো! এই পঙ্গু জীবন পেতে কি আমি প্রাইভেট হাসপাতালে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে চিকিৎসা করতে এসেছিলাম!’’

বেশ কয়েক দিন ধরেই ফেসবুকে তসলিমা ‘অদ্ভুত’ সব পোস্ট করছিলেন। কখনও মরণোত্তর দেহ হাসপাতালে দান করার কথা, কখনও বা তাঁর মৃত্যু হয়েছে— লিখছিলেন এ সবই। তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। রবিবার রাতে তাঁর হাসপাতালে থাকার একটি ছবি পোস্ট করে বিভ্রান্তি আরও বাড়িয়েছিলেন তিনি। এর পর সোমবার একটি পোস্টে লেখেন, ‘‘এক মুহূর্তে একটি মৃত্যু ঘটেছিল। সেই মৃত্যু আমার উচ্ছল উজ্জ্বল জীবনকে গ্রাস করে নিয়ে একটি স্তব্ধ স্থবির জীবন ফেলে রেখে গেছে। এই জীবনটি আমার নয়, অথচ আমার।’’

Advertisement

ওই পোস্টের পরেই অনুমান করা হয়, তিনি গুরুতর শারীরিক সমস্যার শিকার। বুধবার তসলিমা স্পষ্ট করে দিলেন, চিকিৎসা বিভ্রাটের কারণে পঙ্গু হতে চলেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং শল্য চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগও এনেছেন তিনি। তসলিমার দাবি, ‘হিপ ফিক্সেশান’-এর কথা বলে অপারেশন টেবিলে নিয়ে যাওয়ার ঠিক আগে তাঁকে ‘হিপ রিপ্লেসমেন্ট’-এর জন্য সায় দিতে বাধ্য করান ওই শল্য চিকিৎসক-সহ তিন চিকিৎসক।

অপারেশনের আগে তিনি ‘সেকেন্ড ওপিনিয়ন’ নেওয়ার কথা বললেও তাঁকে কার্যত সে সুযোগ দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেছেন তসলিমা। লিখেছেন, ‘‘মাথায় ব্যথা পেয়ে এসেছিলাম চিকিৎসার জন্য, আমার মাথাটা কেটে নেওয়া হয়েছে। সার্জনদের যুক্তি হল, মাথা ফেলে দিলে মাথা ব্যথা করবে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement