তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। —ফাইল ছবি।
নরেন্দ্র মোদী সরকারের তিন ভাষা নীতিকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজা ক্রমশ জোরালো হচ্ছে তামিলনাড়ুতে। সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা ডিএমকে প্রধান এমকে স্ট্যালিন বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে আবার নিশানা করেছেন কেন্দ্রের ‘হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার নীতি’কে।
সমাজমাধ্যমে স্ট্যালিন লিখেছেন, ‘‘কখনও ভেবেছেন কত ভারতীয় ভাষাকে হিন্দি গ্রাস করেছে? ভোজপুরি, মৈথিলি, অওয়াধি, ব্রজ, বুন্দেলি, গঢ়ওয়ালি, কুমায়ুনি, মগহী, মাড়ওয়ারি, মালভী, ছত্তীসগঢ়ী, সাঁওতালি, অঙ্গিকা, হো, খড়িয়া, খোরঠা, কুড়মালী, কুরুখ, মুন্ডারী এবং আরও অনেক ভাষা এখন ধুঁকছে। একচেটিয়া হিন্দি চালুর উদ্দেশ্য প্রাচীন মাতৃভাষাকে হত্যা করা। উত্তরপ্রদেশ এবং বিহার কখনওই শুধু ‘হিন্দি হৃদয়পুর’ ছিল না। তাদের আসল ভাষা এখন অতীতের ধ্বংসাবশেষ।’’এর পরেই তাঁর ঘোষণা— ‘‘তামিলনাড়ুতে প্রতিরোধ হবে। কারণ, আমরা জানি এর শেষ কোথায়।’’
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তামিলনাড়ুর প্রধান বিরোধী দল এডিএমকে-ও ইতিমধ্যে ‘হিন্দি আধিপত্যের’ বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতির অন্তর্গত তিন ভাষা নীতিতে বলা হয়েছে, ছাত্রছাত্রীরা তিনটি ভাষা বাধ্যতামূলক ভাবে শিখবে— ইংরেজি, হিন্দি এবং স্থানীয় ভাষা। তামিলনাড়ু-সহ দক্ষিণ ভারতের অধিকাংশ রাজ্যেই দু’টি ভাষা শিক্ষা বাধ্যতামূলক— ইংরেজি এবং স্থানীয় ভাষা। তিন ভাষা নীতি প্রয়োগের মাধ্যমে হিন্দি শিক্ষা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে তামিলনাড়ু, তেলঙ্গানার মতো দাক্ষিণাত্যের রাজ্যগুলি থেকে অভিযোগ উঠেছে ইতিমধ্যেই। যদিও চলতি সপ্তাহে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তামিলনাড়ুর সফরে গিয়ে বলেন, ‘‘মোদী সরকার কোনও রাজ্যের উপর জোর করে হিন্দি চাপিয়ে দেবে না।’’