Supreme Court

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে গ্রাহ্য হবে শুধু ডিএলএড এবং ডিএড, সুপ্রিম কোর্টের ‘কোপ’ বিএড-এ

শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘যে হেতু ডিএলএড এবং ডিএড ডিগ্রিধারীরা প্রাথমিক স্তরে পড়ানোর জন্য বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, তাই তাঁদেরই প্রাথমিকে শিক্ষক পদে নিয়োগ করা উচিত’।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২৩ ১২:২৭

গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

শুধু ডিএড বা ডিএলএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তেরাই প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। বিএড ডিগ্রিধারীরা নন। রায় ঘোষণা করে জানাল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত শুক্রবার জানিয়েছে, গোটা দেশ জুড়ে এই নীতি কার্যকর করতে হবে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, সাধারণ ভাবে বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতে পারেন। সেখানে ডিএলএড এবং ডিএড প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করা যায় (অতীতে পিটিটিআই-এ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার প্রশিক্ষণ দেওয়া হত বাংলায়)। এই প্রসঙ্গ তুলে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘যে হেতু ডিএলএড এবং ডিএড ডিগ্রিধারীরা প্রাথমিক স্তরে পড়ানোর জন্য বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, তাই তাঁদেরই প্রাথমিকে শিক্ষক পদে নিয়োগ করা উচিত। বিএড ডিগ্রিধারীদের নিয়োগ করা হোক মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে’।

তবে পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন রাজ্যের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে বিএড ডিগ্রিধারী শিক্ষকের সংখ্যাও কম নয় বলে সূত্রের খবর। এত দিন জাতীয় শিক্ষক শিক্ষণ পর্ষদ (এনসিটিই)-এর নির্দেশিকা অনুযায়ী, শুধু বিএডরা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশাপাশি প্রাথমিকেও সুযোগ পেতেন। কিন্তু ডিএলএডদের সেই সুযোগ ছিল না। তাঁরা শুধু প্রাথমিকেই বসার সুযোগ পেতেন। এনসিটিই-র ওই নির্দেশিকা চ্যালেঞ্জ করে দেশ জুড়ে মামলা করেন ডিএলএডরা। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ডিএড বা ডিএলএড ডিগ্রি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার জন্য নির্দিষ্ট। আর উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে বিএড বাধ্যতামূলক। তাই চাকরিতে সুযোগের ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট করে কোর্স থাকা প্রয়োজন। কারণ, বিএডদের প্রাথমিকের চাকরিতে সুযোগ দেওয়া হলে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ডিএলএডদের।

প্রসঙ্গত, শীর্ষ আদালতের এই রায় প্রভাব পড়বে এ রাজ্যের প্রাথমিকের চলতি শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায়। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কয়েক হাজার বিএড উত্তীর্ণ আবেদন করেছেন। এই পরিস্থিতিতে শীর্ষ আদালতের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলিকে প্রাথমিকে নিয়োগের নতুন নীতি এবং পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে বলে শিক্ষাবিদদের একাংশ মনে করছেন।

Advertisement
আরও পড়ুন