Supreme Court

অভিযুক্ত জামিনযোগ্য হলে আদালত জেলমুক্তিতে বিলম্ব করতে পারে না, পর্যবেক্ষণে জানাল সুপ্রিম কোর্ট

খুনের মামলায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে জামিন দিয়েছিল পটনা হাই কোর্ট। তবে উচ্চ আদালত জানিয়েছিল, ৬ মাস পর জেলমুক্তি হবে অভিযুক্তের। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:৪৮

—প্রতীকী চিত্র।

কোনও আদালত যদি এক বার মনে করে কোনও অভিযুক্ত জামিন পাওয়ার যোগ্য, তবে তাঁর জেলমুক্তিকে আটকে রাখা যায় না। জামিন সংক্রান্ত এক মামলার শুনানিতে এই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। সোমবার বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাশির বেঞ্চে মামলাটির শুনানি ছিল। এর আগে পটনা হাই কোর্ট চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল একটি খুনের মামলায় অভিযুক্তের জামিনের নির্দেশ দিয়েছিল। তবে উচ্চ আদালত জানিয়েছিল, জামিনের নির্দেশ কার্যকর হবে নির্দেশনামা জারির ৬ মাস পরে।

Advertisement

সোমবার মামলার শুনানি চলাকালীন সাম্প্রতিক কালে জামিনের নির্দেশের ক্ষেত্রে এই ধরনের প্রবণতারও সমালোচনা করে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চের মন্তব্য, “এটি খুব অদ্ভুত বিষয়। কোনও কোনও আদালতে ছয় মাস বা এক বছর পর জামিন দেওয়া হচ্ছে। এটি নতুন প্রবণতা। অর্থাৎ, কাউকে জামিন দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু তিনি মুক্তি পাচ্ছেন ছয় মাস পর। এটি কী হচ্ছে?”

সেই নির্দেশের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। সেই মামলায় অভিযুক্তকে আগেই অন্তর্বর্তী জামিনের নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সোমবার শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, অন্তর্বর্তী জামিনের নির্দেশই চূড়ান্ত। একই সঙ্গে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, কোনও আদালত একবার যদি মনে করে অভিযুক্ত জামিন পাওয়ার যোগ্য, তবে সেই নির্দেশ কার্যকর করতে বিলম্ব করা যায় না। সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্য, “অভিযুক্ত জামিন পাওয়ার যোগ্য, তা আদালতে নিশ্চিত হওয়ার পরেও যদি জামিনে বিলম্ব হয়, তবে সেই সিদ্ধান্ত সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২১-এ বর্ণিত অভিযুক্তের অধিকারের পরিপন্থী।”

উল্লেখ্য, ১৯ এপ্রিল পটনা হাই কোর্টের বিচারপতি অংশুমান পাণ্ডের বেঞ্চ ওই নির্দেশ দিয়েছিল। অভিযুক্ত জামিন পাওয়ার যোগ্য, সে কথা বিবেচনা করলেও হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, ৬ মাস পর মুক্তি পাবেন তিনি। ৬ মাস পর ৩০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিনের নির্দেশ দিয়েছিল উচ্চ আদালত। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন অভিযুক্ত।

আরও পড়ুন
Advertisement