Naxalites in Chhattisgarh

ছত্তীসগঢ়ের জঙ্গলে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াই, নিহত ন’জন মাওবাদী

গত ১০ বছরে মাওবাদীদের হাতে নিহত হয়েছিলেন ৬ হাজার ৬১৭ জন নিরাপত্তা কর্মী এবং সাধারণ নাগরিক। গত সপ্তাহেও ছত্তীসগঢ়ের বিজাপুর জেলায় মাওবাদীদের হানায় প্রাণ হারান তিন জন গ্রামবাসী। পুলিশের গুপ্তচর সন্দেহে হত্যা করা হয় তাঁদের।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:৫৩
জঙ্গলে চলছে তল্লাশি অভিযান।

জঙ্গলে চলছে তল্লাশি অভিযান। — ফাইল চিত্র।

ছত্তীসগঢ়ে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হলেন নয় মাওবাদী। জঙ্গলে আত্মগোপন করেছিলেন তাঁরা। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তীসগঢ়ের দান্তেওয়াড়ায়।

Advertisement

দান্তেওয়াড়া এবং বিজাপুর জেলার সীমানার জঙ্গলে মাওবাদীদের লুকিয়ে থাকার খবর আগেই গোপন সূত্রে পেয়েছিল পুলিশ। এর পরেই তাঁদের ধরতে শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ নিরাপত্তারক্ষী অভিযান শুরু করে। দু’পক্ষে শুরু হয় গুলির লড়াই। গুলির লড়াইয়ে শেষমেশ হার মানেন মাওবাদীরা। পুলিস সূত্রে খবর, সংঘর্ষে অন্তত নয় জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের সকলেই মাওবাদী সংগঠন পিপল্‌স লিবারেশন গেরিলা আর্মির (পিএলজিএ) সদস্য। তাঁদের দেহগুলি উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের ডেরা থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্রও।

গুলির লড়াইয়ের পরেও অক্ষত আছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তবে, ওই এলাকায় আরও মাওবাদী আত্মগোপন করে রয়েছেন কি না, তা জানতে এখনও তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেও ছত্তীসগঢ়ের বিজাপুর জেলায় মাওবাদীদের হানায় প্রাণ হারান তিন জন গ্রামবাসী। পুলিশের গুপ্তচর সন্দেহে হত্যা করা হয় তাঁদের। পরিসংখ্যান বলছে, গত ১০ বছরে মাওবাদীদের হাতে নিহত হয়েছিলেন ৬ হাজার ৬১৭ জন নিরাপত্তা কর্মী এবং সাধারণ নাগরিক। তবে সেই সংখ্যা এখন ৭০ শতাংশ কমেছে। মাওবাদ দমনের লক্ষ্যে গত মাসেই একটি আন্তঃরাজ্য সমন্বয় বৈঠকে ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শাহের দাবি, আগামী দু’বছরেরও কম সময়ে দেশ থেকে সম্পূর্ণ নির্মূল হবে মাওবাদ। তিনি জানান, তাঁদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার পাশাপাশি আত্মসমর্পণ নীতিতেও আনা হবে বদল।

আরও পড়ুন
Advertisement