Delhi Incident

স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ, দোকানঘর থেকে দেহ উদ্ধার ভাই-বোনের, খুনের সন্দেহ বাবার বিরুদ্ধে!

পুলিশ জানিয়েছে, অচৈতন্য অবস্থায় দু’জনকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে, চিকিৎসকেরা তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। কী ভাবে তাদের মৃত্যু হল, তা নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০২৪ ১২:৩৮
Siblings found dead inside family shop in Delhi

প্রতীকী ছবি।

বন্ধ দোকানের মধ্যে থেকে দু’জনের দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, সম্পর্কে তারা ভাই-বোন। নিজের বাবার দোকান থেকেই তাদের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূ্ত্রে খবর। সন্দেহ, সন্তানদেরকে খুন করে নিজের দোকানে লুকিয়ে রেখেছিলেন তাদের বাবা!

Advertisement

ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর-পশ্চিম দিল্লির কেশব পুরম এলাকায়। জানা গিয়েছে, শনিবার ওই এলাকার এক বন্ধ দোকানঘর থেকে ১৩ বছর বয়সি নাবালিকাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘরেই পড়ে ছিল এক নাবালকের দেহও। স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, ওই দোকানটি মণীশ নামে এক ব্যক্তির। ঘটনার পর থেকেই পলাতক তিনি। তাঁর খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ

মনীশের স্ত্রী পুলিশকে জানিয়েছেন, শনিবার সকালে তাঁর দুই সন্তান স্কুলে গিয়েছিল। কিন্তু বিকেল গড়িয়ে গেলেও তারা বাড়ি ফেরেনি। কিন্তু তাতে সন্দেহ করেননি তিনি। তাঁর মনে হয়েছিল, তারা তাদের বাবার সঙ্গে কোথাও গিয়েছে হয়তো। তাঁর কথায়, ‘‘মণীশ প্রায়ই ছেলেমেয়েদের স্কুল থেকে নিয়ে এ দিক ও দিক ঘুরতে যেতেন। তবে বিকেলের পর থেকে তাঁর মোবাইল ফোনে একাধিক বার চেষ্টা করেছি, কিন্তু পাইনি। তার পরই মণীশের দোকানের শাটার তুলে ভেতরে ঢুকে আমরা দেখি, ছেলেমেয়েরা অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে।’’

পুলিশ জানিয়েছে, দু’জনকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে চিকিৎসকেরা তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। কী ভাবে তাদের মৃত্যু হল, তা নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর আসল কারণ জানা সম্ভব হবে। তবে প্রাথমিক ভাবে অনুমান, তাদের খুন করা হয়েছে। তাদের বাবাই এই হত্যাকাণ্ডের মূল সন্দেহভাজন বলে মনে করছে পুলিশ।

মৃত্যুরহস্য উদ্ঘাটন করতে পুলিশ মৃতদের পরিবার এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলছে। পুলিশ জানতে পেরেছে, বেশ কিছু দিন ধরে আর্থিক সমস্যায় ভুগছিলেন মণীশ। সেই কারণে প্রায়ই মেজাজ খারাপ থাকত তাঁর। এই মৃত্যুর সঙ্গে মণীশের আর্থিক অবস্থার যোগ রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজও দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূ্ত্রে খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement