ঘন কুয়াশায় ঢেকেছে পথ। দিল্লির ভোরের দৃশ্য। ছবি: পিটিআই।
দিল্লি-সহ উত্তর ভারতে ধোঁয়াশার দাপট কমল না। বুধের সকালেও পরিবর্তন করতে হল একাধিক বিমানের সময়সূচি। বুধবার ভোর থেকেই রাজধানী দিল্লি এবং সংলগ্ন অঞ্চল ঢেকেছে ধোঁয়াশার পুরু আস্তরণে। দৃশ্যমানতা নেমে গিয়েছে ১০ মিটারে। ব্যাহত হয়েছে রেল পরিষেবাও।
নয়াদিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় দৃশ্যমানতা শূন্যে নেমে গিয়েছে। মঙ্গলবার কুয়াশার কারণে দিল্লি আসা-যাওয়ার প্রায় ৩০০টি উড়ানের সময়সূচি বদলানো হয়েছিল। বিলম্বিত হয়েছিল অন্তত ২৫টি ট্রেন। বুধবারও দুর্ঘটনা এড়াতে ৩৭টি বিমানের সময়সূচি বদলানো হয়েছে। ধোঁয়াশার কারণে বাতিল করতে হয়েছে একটি উড়ান। দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকায় ঘন কুয়াশার কমলা সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর (আইএমডি)। কুয়াশার দাপট চলবে শুক্রবার পর্যন্ত। একই চিত্র অমৃতসর, জম্মু ও আগরা বিমানবন্দরেও।
বুধের ভোরে দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৩.৬ ডিগ্রি বেশি। তবে মৌসম ভবনের পূর্বাভাস বলছে, বুধবার থেকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমবে। শুক্রবারের মধ্যে পারদ ফের ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যেতে পারে।
তবে গত কয়েক দিনে রাজধানীর বাতাসের গুণগত মান বা একিউআই-এর কিছুটা হলেও উন্নতি হয়েছে। ‘ভয়ানক’ পর্যায় থেকে নেমে ‘খুব খারাপ’ পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে বাতাসের গুণমান। রবিবারই রাজধানীতে বিধিনিষেধ ‘জিআরএপি ৩’ (গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান ৩) শিথিল করেছে কেন্দ্র! গত কয়েক সপ্তাহে দূষণ সামান্য হলেও কমেছে, এমনটাই যুক্তি কেন্দ্রের। মঙ্গলবার বিকেলে দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় বাতাসের গড় একিউআই ছিল ২৫০। বুধবার সকালে অশোক বিহারে ৩৪৭, রোহিনীতে ৩৪৯, চাঁদনি চকে ৩০২ এবং অরবিন্দ মার্গে ২৮৬ একিউআই রেকর্ড হয়েছে।