দিল্লির দূষণের চিত্র। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
দিল্লি-সহ উত্তর ভারতে ধোঁয়াশার দাপট কমেনি। পরিবর্তন করতে হয়েছে একাধিক বিমানের সময়সূচি। ব্যাহত হয়েছে রেল পরিষেবাও। সেই আবহেই জানা গেল, ২০২৪ সালে মাত্র ১২১ দিন পরিষ্কার বাতাস ছিল রাজধানীতে!
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) মাপকাঠি অনুযায়ী প্রতি ঘনমিটারে পিএম ২.৫-এর সহনীয় মাত্রা ৫ মাইক্রোগ্রাম। সেখানে নয়াদিল্লির দূষণের মাত্রা অনেক বেশি। দিল্লির সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৪ সালে দিল্লিতে বার্ষিক পিএম ২.৫ এর মাত্রা ছিল প্রতি ঘনমিটারে ১০৪.৭ মাইক্রোগ্রাম। এই মান বাতাসের জাতীয় গুণমানের সর্বোচ্চ মাত্রার (প্রতি ঘনমিটারে ৪০ মাইক্রোগ্রাম) আড়াই গুণেরও বেশি। রিপোর্টের দাবি, গোটা ২০২৪ সালে মাত্র ১২১ দিন বাতাসে পিএম ২.৫ নির্ধারিত মানের কম ছিল, যা গত ২০২৩ সালের ১৫২ দিনের রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছে।
যদিও রাজধানীর বাতাসের গুণগতমান বা একিউআই-এর কিছুটা হলেও উন্নতি হয়েছে। ‘ভয়ানক’ পর্যায় থেকে নেমে ‘খুব খারাপ’ পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে বাতাসের গুণমান। তাই রবিবারই রাজধানীতে বিধিনিষেধ ‘জিআরএপি ৩’ (গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান ৩) শিথিল করেছে কেন্দ্র! গত কয়েক সপ্তাহে দূষণ সামান্য হলেও কমেছে, এমনটাই যুক্তি কেন্দ্রের। মঙ্গলবার বিকেলে দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় বাতাসের গড় একিউআই ২৫০। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ পঞ্জাবি বাগে ৩২৪, অশোক বিহারে ৩২৭, রোহিনীতে ৩২৪, চাঁদনি চকে ২৩৪, বুরারিতে ২৮৮ এবং অরবিন্দ মার্গে ২৫২ একিউআই রেকর্ড হয়েছে।
দূষণের মাত্রা কমতেই দিল্লি এবং সংলগ্ন এনসিআর এলাকায় বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। অর্থাৎ রাজ্যের স্কুলগুলিতে ‘হাইব্রিড মডেলে’ পঠনপাঠনের পরিবর্তে রোজ স্কুলে এসে পঠনপাঠন শুরু হচ্ছে। দিল্লি-এনসিআর অঞ্চলে যান চলাচলেও নিয়ন্ত্রণ শিথিল হচ্ছে। দিল্লির রাস্তায় ফের চলাচল করতে পারবে বিএস ৩-এর নীচে থাকা পেট্রল গাড়ি এবং বিএস ৪-এর নীচে থাকা ডিজ়েল গাড়ি। চালানো যাবে পণ্যবাহী মাঝারি আকারের যানও। যে কোনও ধরনের নির্মাণকাজ কিংবা ভাঙার কাজ ফের শুরু করা যাবে বলেও জানানো হয়েছে।