Yamuna River Pollution

দিল্লিতে সরকার বদলের ফলে যমুনার দূষণ নিয়ে সংঘাতের ইতি ঘটবে, আশাবাদী শীর্ষ আদালত

২০২১ সালে যমুনার দূষণ নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করেছিল শীর্ষ আদালত। সে সময় আদালতে শুনানিপর্বে উঠে এসেছিল, দিল্লির তৎকালীন আপ সরকার এবং হরিয়ানার বিজেপি সরকারের সংঘাতের কথা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২১:৫০

গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

বিধানসভা নির্বাচনে জিতে দিল্লিতে ক্ষমতায় আসার পরেই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি মেনে যমুনা নদী পরিষ্কারের কাজ শুরু করেছে বিজেপি সরকার। বন্ধ হয়েছে পড়শি হরিয়ানাকে দোষারোপের পালা। এই রাজনৈতিক পালাবদলের ফলে সঙ্ঘাতের আবহ কাটবে বলে মঙ্গলবার আশা প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে শীর্ষ আদালতের প্রশ্ন, শেষ পর্যন্ত কি সত্যিই দূষণমুক্ত হবে যমুনা।

Advertisement

গত এক দশক ধরে দিল্লির তৎকালীন আম আদমি পার্টি (আপ) সরকার যমুনার দূষণ নিয়ে ধারাবাহিক ভাবে বিজেপিশাসিত হরিয়ানার দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আরএস গবইয়ের বেঞ্চ মঙ্গলবার সেই চাপানউতরের দিকে ইঙ্গিত করে বলেছে, ‘‘দিল্লিতে সরকার পরিবর্তন হওয়ায় যমুনাকে ঘিরে সমস্ত বিরোধের অবসান হতে পারে।’’ প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে যমুনার দূষণ নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করেছিল শীর্ষ আদালত। সে সময় আদালতবান্ধব (অ্যামিকাস কিউরে) মীনাক্ষি অরোরা জানিয়েছিলেন, দিল্লি এবং হরিয়ানা সরকারের বিরোধ এ ক্ষেত্রে বড় সমস্যা।

দিল্লিতে এ বার বিধানসভা ভোটের প্রচারপর্বে বারে বারেই আলোচনার কেন্দ্রে থেকেছে যমুনার জল! কখনও যমুনার জলে বিষ মেশানোর অভিযোগ তুলেছেন আপ প্রধান তথা দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল, কখনও আবার যমুনার দূষণ নিয়ে পাল্টা তোপ দেগে আপের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। ক্ষমতায় আসার পরেই যমুনা পরিষ্কারের লক্ষ্যে চতুস্তরীয় কৌশল গ্রহণ করেছে মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তের সরকার। প্রথম স্তরে, যমুনা নদীতে জমে থাকা আবর্জনা, পলি এবং অন্যান্য ময়লা অপসারণ করা হবে। এর পর বড় বড় ড্রেনগুলি পরিষ্কারের কাজ শুরু হবে। তৃতীয় দফায়, পয়ঃনিষ্কাশন শোধনাগারগুলির (এসটিপি) ক্ষমতা ও কার্যকারিতা নিয়মিত যাচাই করে দেখা হবে। সব শেষে, দৈনিক প্রায় ৪০০ এমজিডি (মিলিয়ন গ্যালন) পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার ঘাটতি পূরণের জন্য নতুন এসটিপি/ ডিএসটিপি নির্মাণ করা হবে।

Advertisement
আরও পড়ুন