ফাইল চিত্র।
কোনটা সামাজিক প্রকল্প এবং কোনটা খয়রাতি, তা চিহ্নিত করার জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন এবং সর্বদল বৈঠক ডাকার পরামর্শ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই অবস্থায় খয়রাতির প্রতিযোগিতা নিয়ে ফের রাজ্যগুলির উদ্দেশে সতর্কবার্তা জারি করল স্টেট ব্যাঙ্কের আর্থিক গবেষণা শাখা।
আজ তাদের রিপোর্ট ইকোর্যােপে মন্তব্য করা হয়েছে, শীর্ষ আদালতের প্রস্তাবিত কমিটির মাধ্যমে ওই খরচের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়া এই সমস্যা সমাধানের একটা পথ হতে পারে। তা হতে পারে রাজ্য জিডিপি কিংবা সংশ্লিষ্ট রাজ্যের নিজস্ব কর সংগ্রহের ১%।খয়রাতির বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে রাজ্যগুলির পুরনো পেনশন ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়া এবং এই সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতির প্রসঙ্গ তোলা হয়েছে রিপোর্টে।
জানানো হয়েছে, শুধু ঝাড়খণ্ড, ছত্তীসগঢ় এবং রাজস্থানের মতো তিন রাজ্যের পেনশন খাতে বার্ষিক মোট খরচ প্রায় ৩ লক্ষ কোটি টাকা। বার্ষিক আয়ের সঙ্গে তাদের পেনশন বিলের অনুপাত যথাক্রমে ২১৭%, ১৯০% এবং ২০৭%। আর যে সমস্ত রাজ্য পুরনো পেনশন ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার ভাবনাচিন্তা করছে তাদের মধ্যে হিমাচলপ্রদেশের ক্ষেত্রে সেই অনুপাত দাঁড়াতে পারে ৪৫০%, গুজরাতের ১৩৮% এবং পঞ্জাবের ২৪২%। এর পাশাপাশি, রাজ্যগুলির বাজেট বহির্ভুত ঋণও পৌঁছে গিয়েছে জিডিপির ৪.৫ শতাংশে। এই ঋণ সাধারণত নেয় রাজ্য সরকার পরিচালিত সংস্থা। গ্যারান্টি দেয় রাজ্য। তেলঙ্গানার ক্ষেত্রে সেই গ্যারান্টির অঙ্ক রাজ্য জিডিপির ১১.৭% ছুঁয়েছে। সিকিম (১০.৮%), অন্ধ্রপ্রদেশ (৯.৮%), রাজস্থান (৭.১%) এবং উত্তরপ্রদেশের (৬.৩%) ক্ষেত্রেও তা উদ্বেগজনক। এই গ্যারান্টির ৪০% রয়েছে বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে। সেচ, পরিকাঠামো উন্নয়ন, খাদ্য এবং জল সরবরাহেও তা রয়েছে যথেষ্ট।