ইডি-র দফতর থেকে বেরিয়ে আসছেন লালু প্রসাদ যাদব। ছবি: পিটিআই।
‘জমির বিনিময়ে রেলে চাকরি’র মামলায় আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদকে ন’ঘণ্টারও বেশি জিজ্ঞাসাবাদ করল কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সোমবার বেলায় পটনায় ইডির দফতরে তলব করে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী লালুকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন ইডি আধিকারিকেরা। তা চলে রাত পর্যন্ত।
লালু প্রথম ইউপিএ সরকারের রেলমন্ত্রী থাকাকালীন (২০০৪-০৯) বিহারের বহু যুবককে জমি এবং টাকার বিনিময়ে রেলের গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল লালুর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী এবং তাঁদের দুই কন্যা মিসা এবং হেমার বিরুদ্ধে। পরবর্তী সময়ে ঘটনার তদন্তে লালু-পুত্র তথা বিহারের সদ্যপ্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বীর নামও উঠে আসে।
ইডির অভিযোগ, চাকরির বিনিময়ে বহু যুবকের থেকে জমি নেওয়া হয়েছিল। সেই জমি তাঁরা লালুর পরিবারের সদস্য এবং একে ইনফোসিস্টেমস সংস্থার নামে করেছিলেন। ওই সংস্থার সঙ্গে যোগ রয়েছে লালুর পরিবারের সদস্যদের বলে দাবি ইডির। ঘটনার তদন্তে নেমেছিল সিবিআই। পটনা, দিল্লি-সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল। তার পর অভিযান চালানো হয় আরজেডির একাধিক নেতার বাড়িতে। সিবিআই আগেই চার্জশিট দিয়েছিল লালু এবং তাঁর পরিবারের কয়েক জনের নামে। সম্প্রতি চার্জশিট দিয়েছে ইডিও।
ঘটনাচক্রে, রবিবারই বিহারে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে লালুর দল আরজেডি। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার আরজেডি ছেড়ে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। লোকসভা ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদীর সরকার ইডি-সহ কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে বিরোধীদের বিরুদ্ধে কাজে লাগাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবারই ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। ৭৫ বছর বয়সি লালু দীর্ঘ দিন ধরেই অসুস্থ। পশুখাদ্য-দুর্নীতি মামলায় সাজা পেলেও স্বাস্থ্যের কারণে আদালত জামিনে মুক্তি দিয়েছে তাঁকে।