অসমের খনিশ্রমিকদের উদ্ধারে নামল নৌসেনা। ছবি: সংগৃহীত।
চার দিন ধরে অসমের দিমা হাসাও জেলার প্রত্যন্ত শিল্পশহর উমরাংসোর অবৈধ কয়লাখনিতে আটকে রয়েছেন ন’জন শ্রমিক। বুধবার প্লাবিত ওই খনি থেকে এক শ্রমিকের দেহ উদ্ধার করা গিয়েছে। তবে বাকিরা এখনও ওই খনির মধ্যে আটকে রয়েছেন। তাঁরা জীবিত, না মৃত, কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। সেই আবহেই এ বার উদ্ধারকাজে নামল নৌসেনার প্রশিক্ষিত দল।
বুধবারই উমরাংসো পৌঁছেছে নৌসেনার ওই বিশেষ দল। বিশাখাপত্তনম থেকে তাদের আনা হয়েছে। দলে এক জন আধিকারিক এবং ১১ জন নাবিক রয়েছেন। প্রত্যেকেরই ডাইভিং এবং জটিল উদ্ধার অভিযানের প্রশিক্ষণ রয়েছে। ডাইভিংয়ের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং জলের নীচে চালক ছাড়া চলতে পারে এমন ‘রিমোটলি অপারেটেড ভেহিকেল’ (আরওভি)-ও নিয়ে এসেছেন তাঁরা।
সোমবার উমরাংসোর ওই অবৈধ খনিতে কয়লার খোঁজে নেমেছিলেন শ্রমিকেরা। কিন্তু আচমকাই ওই খনিতে হু-হু করে জল ঢুকতে শুরু করে। ভিতরেই আটকে পড়েন শ্রমিকেরা। শুরু হয় উদ্ধারকাজ। পৌঁছয় রাজ্য এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। তাঁরা প্রাথমিক ভাবে পাম্পের সাহায্যে খনি থেকে জল বার করে আনার চেষ্টা করেন। তবে উদ্ধারকাজের প্রক্রিয়া জটিল হওয়ায় সোমবারই সেনাবাহিনীর কাছে সাহায্যের আর্জি জানায় অসম সরকার। সেই মতো উদ্ধারকাজে নামে সেনাও।
সোমবার প্রথমে খনিতে আটকে পড়া শ্রমিকদের সংখ্যা প্রায় ২০ জন বলে জানানো হয়েছিল। যদিও পরে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ন’জন শ্রমিকের নামের তালিকা প্রকাশ করেন। ওই তালিকায় রয়েছেন জলপাইগুড়ির এক বাসিন্দাও। তাঁর নাম সঞ্জিত সরকার। এক শ্রমিক নেপালের বাসিন্দা। বাকি সাত জন অসমের। ওই শ্রমিকদের উদ্ধার করতে মঙ্গলবার সকালেই আনা হয়েছিল অসম রাইফেলসের ‘পাথফাইন্ডার ইউনিট’-এর জওয়ানদের। দলে ছিলেন দক্ষ ডুবুরিরাও। তাঁরাই এক শ্রমিকের দেহ উদ্ধার করেছেন। তবে জলস্তর এখনও বাড়ছে। শেষ পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে, খনিতে জলস্তর ১০০ ফুটেরও বেশি উঠে এসেছে, যা খুবই বিপজ্জনক।