অরুণাচলে নয়া চিনা গ্রামের উপগ্রহ চিত্র। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
উত্তর সুবনসিরির পরে এ বার শি ইয়োমি জেলা। ফের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) লঙ্ঘন করে অরুণাচল প্রদেশে ঢুকে গ্রাম বানানোর অভিযোগ উঠল চিনা সেনার বিরুদ্ধে। একটি সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেলে প্রচারিত খবরে দাবি, অরুণাচলের শি ইয়োমি জেলায় এলএসি-র প্রায় ছ’কিলোমিটার ঢুকে একটি গ্রাম বানিয়েছেন চিনা ফৌজ। দাবির সমর্থনে একটি উপগ্রহ চিত্রও প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ওই উপগ্রহ চিত্র ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তোলা। সেই সঙ্গে ২০১৯ সালের মার্চে তোলা ঠিক একই এলাকার একটি উপগ্রহ ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। ২০১৯ সালের ছবিতে নদীর তীরে জনবসতির কোনও চিহ্ন নেই। কিন্তু দু’মাস আগে তোলা ছবিতে দেখা যাচ্ছে বাড়ির সারি।
সদ্য গড়ে ওঠা ওই গ্রামের প্রায় ৯৩ কিলোমিটার পশ্চিমে চিনের একটি জনপদ রয়েছে। অরুণাচল সরকার বা সেনার তরফে এখনও চিনের সেনার জমি জবরদখলের অভিযোগ স্বীকার করা হয়নি। এক সেনাকর্তার দাবি, গ্রামটির অবস্থান এলএসি-র কিছুটা উত্তরে। তবে সেনা জানিয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের গোড়ায় ওই টিভি চ্যানেলেই অরুণাচলের উত্তর সুবনসিরি জেলায় ভারতীয় ভূখণ্ডের চার কিলোমিটার অন্দরে ঢুকে তাসরি চু নদীর তীরে বানানো চিনা সেনার গ্রাম বানানোর উপগ্রহ ছবি প্রকাশ করা হয়েছিল। তাতে ধরা পড়েছিল ১০১টি বাড়ির অস্তিত্ব। অরুণাচলের বিজেপি সাংসদ টাপির গাও সে সময় লোকসভায় দাঁড়িয়ে চিনা জবরদখলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন।
সম্প্রতি আমেরিকার প্রতিরক্ষা দফতরের বার্ষিক রিপোর্টেও ভারতীয় ভূখণ্ড জবরদখলের সেই অভিযোগের স্বীকৃতি মিলেছে। এর পর বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী অরুণাচলের সীমান্ত সংলগ্ন অঞ্চলে চিনের গ্রাম গড়ার অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করলেও সেনার তরফে চিনের দখলদারির কথা খারিজ করা হয়। ঘটনাচক্রে, বুধবারই একটি সংবাদমাধ্যমে চিনা সেনার বিরুদ্ধে ডোকলামের কাছে ভুটানের ভূখণ্ড জবরদখল করে গ্রাম তৈরির অভিযোগ তোলা হয়েছে।