Same Sex Marriage

সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে কেন্দ্রের মতামত চাইল সুপ্রিম কোর্ট, সব মামলার একত্রে শুনানি মার্চে

প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পিএস নরসিমহা এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালার ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে কেন্দ্রকে ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মতামত জানাতে হবে।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৩ ১৫:৩৩
সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে কেন্দ্রের মতামত চাইল সুপ্রিম কোর্ট।

সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে কেন্দ্রের মতামত চাইল সুপ্রিম কোর্ট। ফাইল চিত্র।

সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে কেন্দ্রের মতামত জানতে চাইল দেশের শীর্ষ আদালত। তা ছাড়া দেশের বিভিন্ন হাই কোর্টে জমে থাকা এই সংক্রান্ত যাবতীয় মামলা আগামী মার্চ মাসে শুনবে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পিএস নরসিমহা এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালার ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মতামত জানাতে হবে।

একই সঙ্গে দেশের সব হাই কোর্টে জমে থাকা সমলিঙ্গ সংক্রান্ত যাবতীয় মামলা শুনতেও রাজি হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। মামলার আবেদনকারীরা সুপ্রিম কোর্টকেই এই মামলাগুলি শোনার আর্জি জানিয়েছিলেন। মামলার সমস্ত আবেদনকারীর নাম নথিভুক্ত করার জন্যও কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

Advertisement

গত বছরের ২৫ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট দুই সমকামী যুগলের দায়ের করা দু’টি মামলা সম্পর্কে অবহিত হয়। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠান করে বিয়ে করেন সুপ্রিয় চক্রবর্তী এবং অভয় ডাং। বস্তুত, তাঁরাই দেশের প্রথম সমকামী যুবক, যাঁরা বিয়ে করেছেন। এখন বিশেষ বিবাহ আইনের স্বীকৃতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই যুগল।

অন্য দিকে, দীর্ঘ ১৭ বছরের সম্পর্কের পর পার্থ ফিরোজ মলহোত্র এবং উদয় রাজ বিয়ে করেছেন। আদালতে ওই যুগল জানান, তাঁরা দুটি শিশুকে লালনপালন করছেন। কিন্তু যে হেতু তাঁদের বিয়ের কোনও আইনি স্বীকৃতি নেই, তাই আইনত শিশুদের বাবা-মা হতে পারছেন না। একই জনস্বার্থ মামলায় তাঁদের আবেদন শুনবে সুপ্রিম কোর্ট। ২০১৪ সালে এক আর এক সমকামী যুগল বিয়ে করেন। তাঁদের এক জন ভারতীয় হলেও অন্য জন আমেরিকার বাসিন্দা। এখন তাঁরা হিন্দু বিবাহ আইন এবং বিদেশি বিবাহ আইনে বিয়ের স্বীকৃতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। সমলিঙ্গের বিয়েতে স্বীকৃতি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দুই রাজ্যের দুই সমকামী যুগল। জনস্বার্থ মামলা শুনতে সম্মত হয় দেশের শীর্ষ আদালত। বৃহস্পতিবার ছিল সেই মামলারই শুনানি।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর, ভারতীয় সংবিধান ৩৭৭ ধারায় সমকামিতাকে ‘অপরাধ’-এর তকমা থেকে মুক্তি দিয়েছে। কিন্তু, ৩৭৭ ধারায় সাংবিধানিক ভাবে সমকামী মানুষদের অস্তিত্বকে স্বীকার করে নিলেও দৈনন্দিন অপমান থেকে তাঁদের মুক্তি দেয়নি। নানা জায়গায় বিভিন্ন সময়ে সমকামীদের নির্যাতন এবং আক্রমণের অভিযোগ উঠেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement