—প্রতীকী ছবি।
এখনও তার ঠিকানা আরব সাগর। কিন্তু জাতীয় আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, বৃহস্পতিবার গুজরাতের কচ্ছ উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’। তাই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে গুজরাতে যাওয়ার একাধিক ট্রেন বাতিল করলেন রেল কর্তৃপক্ষ। সোমবার দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, দুর্যোগের সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে পশ্চিম রেলে। তাই রেলের ওই জ়োনের নিয়ন্ত্রণাধীন একাধিক গন্তব্যে যাওয়ার ট্রেন বাতিল করা হচ্ছে। কিছু ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হচ্ছে। ঝড়ের অভিমুখ এবং প্রভাব লক্ষ করে পরে আরও কিছু ট্রেন বাতিল করা হতে পারে বলে রেল সূত্রে খবর।
মঙ্গলবারের জন্য বাতিল করা হয়েছে ভুজ-শালিমার এক্সপ্রেস। বুধ এবং বৃহস্পতিবার বাতিল থাকছে আপ এবং ডাউন পোরবন্দর-শালিমার এক্সপ্রেস। শুক্র এবং শনিবার বাতিল থাকছে আপ এবং ডাউন শালিমার-পোরবন্দর এক্সপ্রেস। কিছু ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার শালিমার-ওখা এক্সপ্রেস গুজরাতের সুরেন্দ্রনগর স্টেশন পর্যন্ত যাবে। শুক্রবার পোরবন্দর-সাঁতরাগাছি এক্সপ্রেস পোরবন্দরের পরিবর্তে আমদাবাদ স্টেশন থেকে ছাড়বে।
‘বিপর্যয়’-এর জেরে মুম্বই এবং মহারাষ্ট্রের নানা এলাকায় বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে মুম্বই বিমানবন্দরের একাধিক বিমান বাতিল করে দেওয়া হয়। হাওয়া অফিসের তরফে সর্বশেষ বুলেটিনে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে গুজরাতের মাণ্ডবী এবং পাকিস্তানের করাচির মধ্যবর্তী এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে ‘বিপর্যয়’। ইতিমধ্যেই গুজরাতে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এএনআই সূত্রে খবর, গুজরাতের কচ্ছ উপকূলবর্তী এলাকা থেকে বাসিন্দাদের অস্থায়ী শিবিরে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’-এর মোকাবিলায় প্রশাসনের তরফে প্রস্তুতি কেমন, তা খতিয়ে দেখতে সোমবার একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৈঠকে দুর্যোগ মোকাবিলায় এবং সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি রুখতে প্রশাসনের তরফে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা সবিস্তারে প্রধানমন্ত্রীকে জানান সরকারি আধিকারিকরা।