এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
অতুল সুভাষ-কাণ্ডের ছায়া এ বার উত্তরপ্রদেশে। একই ধাঁচে ভিডিয়োবার্তা রেকর্ড করার পর আত্মহত্যা করলেন এক যুবক। মাত্র ৪১ সেকেন্ডের ভিডিয়োয় চাইলেন স্ত্রী ও শাশুড়ির গ্রেফতারি! সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের হামিরপুরে ঘটনাটি ঘটেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম রাজেশ কুমার (৩৫)। সুমেরপুর ব্লকের তেহরা গ্রামের বাসিন্দা রাজেশের স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। তবে গত বেশ কিছু দিন ধরে স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না বলে জানা গিয়েছে। অশান্তি চরমে পৌঁছলে গত ২ জানুয়ারি দুই সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যান তাঁর স্ত্রী। সঙ্গে নিয়ে যান লকারে রাখা সমস্ত টাকা ও গয়নাও। অভিযোগ, এর পর থেকেই হয়রানির শুরু। বিচ্ছেদ ও মোটা অঙ্কের খোরপোশ চেয়ে রাজেশকে চাপ দিতে শুরু করেন স্ত্রী ও শাশুড়ি। যৌতুক নেওয়ার মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
৪১ সেকেন্ডের ওই ভিডিয়োয় রাজেশকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘আমি যদি সৎ হয়ে থাকি, তা হলে একদিন না একদিন ন্যায়বিচার মিলবেই। আমার সন্তানদের বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হোক। আমার স্ত্রী ও শাশুড়ির যেন সাজা হয়।’’ এর পরেই বিষ খান রাজেশ। যদিও ভিডিয়োয় আত্মহত্যার কারণ ব্যাখ্যা করেননি ওই যুবক, তবে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকের হেনস্থার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। রাজেশের ভাই সন্তোষ কুমারের অভিযোগের ভিত্তিতে রাজেশের স্ত্রী ও তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। হামিরপুরের সার্কেল অফিসার রাজেশ কামাল জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই যুবকের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
গত ৯ ডিসেম্বর একই ভাবে আত্মহত্যা করেছিলেন বেঙ্গালুরুর তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরত যুবক অতুল সুভাষ। প্রায় দেড় ঘণ্টার ভিডিয়ো ছাড়াও ২৪ পাতার একটি সুইসাইড নোট রেখে গিয়েছিলেন অতুল, যার ছত্রে ছত্রে স্ত্রী নিকিতা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে নানা গুরুতর অভিযোগ ছিল। অতুলের ‘সুইসাইড নোট’ প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। অতুলের পরিবারের অভিযোগ, টাকা আদায় করতে নানা মিথ্যা মামলা সাজিয়ে অতুলকে ফাঁসানো হয়েছিল। এর পরেই গ্রেফতার হন নিকিতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যেরা। পরে অবশ্য তাঁরা জামিনও পেয়েছেন।