Odisha

জামিনে ছাড়া পেয়ে ধর্ষিতাকে খুন, দেহ কয়েক টুকরো করে ফেলা হল নদীতে! ওড়িশায় ধৃত দুই

অভিযুক্ত ওড়িশার সুন্দরগড় জেলার বাসিন্দা। তাঁর বিরুদ্ধে গত ২০২৩ সালের অগস্ট মাসে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ ১০:৪৩
এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে।

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

জামিনে ছাড়া পেয়ে নির্যাতিতাকে খুন করলেন ধর্ষণে অভিযুক্ত! তার পর দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে দেহাংশগুলি নদীতে ফেলে দিলেন। চলতি মাসে ওড়িশায় ঘটনাটি ঘটেছে। খুনের ঘটনায় ওই যুবককে ফের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

বুধবার পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত ওড়িশার সুন্দরগড় জেলার বাসিন্দা। তাঁর বিরুদ্ধে গত ২০২৩ সালের অগস্ট মাসে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের তরফে ধারুয়াডিহি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। অভিযোগের ভিত্তিতে অগস্টেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ওই বছরই ডিসেম্বর মাসে জামিনে ছাড়া পেয়ে যান অভিযুক্ত।

ঝারসুগুড়ার পুলিশ সুপার পারমার স্মিত পুরুষোত্তমদাস বুধবার সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, ‘‘চলতি বছরের ৭ ডিসেম্বর মেয়েটির পরিবার একটি নিখোঁজ ডায়েরি করে। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজে শেষ বার নির্যাতিতাকে দুই যুবকের সঙ্গে একটি বাইকে উঠতে দেখা গিয়েছিল। দু’জনেরই মুখ ছিল হেলমেটে ঢাকা। কিন্তু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই প্রযুক্তি)-র সাহায্য নিয়ে ওই দুই যুবককে শনাক্ত করা হয়। দু’জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।’’ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত দুই যুবকের মধ্যে এক জন মূল অভিযুক্ত। অপর জন তাঁরই পরিচিত। তিনিও নির্যাতিতাকে খুনে ওই ব্যক্তিকে সাহায্য করেছিলেন বলে দাবি পুলিশের।

পুলিশ সূত্রেই জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা সুন্দরগড়ের বাসিন্দা হলেও ঝারসুগুড়ায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে থাকতেন তিনি। চলতি মাসের শুরুতে হঠাৎ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। তদন্তে প্রকাশ, শেষ বার তাঁর ‘ধর্ষক’-এর সঙ্গেই দেখা করেছিলেন নির্যাতিতা। জানা যায়, অভিযুক্তেরা প্রথমে নির্যাতিতাকে রাউরকেলা ও দেওগড়ের মাঝামাঝি ১৪৩ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলার নলি কেটে খুন করেন। তার পর তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে ব্রাহ্মণী নদীতে ফেলে দেন। পুলিশ এবং ওড়িশার বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (ওডিআরএএফ)-র যৌথ দল নদীতে তল্লাশি চালিয়ে নির্যাতিতার মাথা-সহ দেহের কিছু অংশ উদ্ধার করেছে। বাকি দেহাংশগুলির এখনও খোঁজ চলছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

জেরায় অভিযুক্ত খুনের কথা স্বীকার করেছেন। ধৃত জানিয়েছেন, গত বছরের ডিসেম্বরে জেল থেকে বেরিয়েই নির্যাতিতাকে খুনের ছক কষেছিলেন তিনি। আশঙ্কা ছিল, নির্যাতিতা আদালতে বয়ান দিলে ধর্ষণের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হতে পারেন তিনি। তাই এই পরিকল্পনা!

Advertisement
আরও পড়ুন