ইম্ফলে রাহুল গান্ধী। ছবি: এক্স (সাবেক টুইটার)।
কংগ্রেসের দ্বিতীয় ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’য় যোগ দিতে মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলে পৌঁছলেন রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেসের অন্য নেতারা। তার পরই জনসভা এবং উদ্বোধনী পর্বের পর শুরু হল ‘ন্যায় যাত্রা’। শনিবারই কংগ্রেসের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে জানানো হয়েছিল যে, মণিপুরের থৌবল থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হবে তাদের ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’। তবে গোষ্ঠীহিংসায় দীর্ণ উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে কংগ্রেসকে তাদের কর্মসূচি পালনের অনুমতি দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় ছিল। তবে রবিবার জেলা প্রশাসনের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে বেশ কিছু নিয়ম মানতে বলা হয় কংগ্রেস নেতৃত্বকে।
বলা হয় যে, সভার উদ্বোধনী পর্ব এক ঘণ্টার মধ্যে শেষ করতে হবে এবং সর্বাধিক তিন হাজার জন তাতে অংশ নিতে পারবেন। অশোক গহলৌত, জয়রাম রমেশের মতো নেতারা তো রয়েইছেন, রবিবার দুপুরে ইম্ফলে নেমেছেন বিএসপির সাসপেন্ডেড সাংসদ দানিশ আলিও। তাঁর কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার জল্পনার মাঝেই খবর যে, এই যাত্রায় আগাগোড়াই শামিল হবেন তিনি। যাত্রা শুরুর আগেই অবশ্য কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যে বাগ্যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা, অধুনা প্রয়াত মুরলী দেওরার পুত্র মিলিন্দ দেওরা শিবসেনায় যোগ দেওয়ার পরেই কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বিজেপি বলেছে, “আগে দলের নেতাদের সঙ্গে ন্যায়বিচার করুন রাহুল। তার পর ন্যায় যাত্রা করবেন।”
বিজেপিকে পাল্টা দিয়েছে কংগ্রেসও। দলের তরফে জয়রাম ‘ন্যায় সভা’র জমায়েতের ছবি এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে বলেন, “মণিপুর থেকে যাতে ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ শুরু হতে না পারে, তার জন্য বিজেপি সব ধরনের নোংরা চেষ্টা চালিয়েছে। ইম্ফলের প্যালেস ময়দানে আমাদের সভা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি।” কংগ্রেসের তরফে জানা গিয়েছে, ৬৭ দিন ধরে ১৫টি রাজ্যের ১১০টি জেলা ছুঁয়ে মার্চের ২০-২১ তারিখে মুম্বইয়ে পৌঁছে এই যাত্রা শেষ হবে। তবে প্রথম ‘ভারত জোড়ো’-র মতো সম্পূর্ণ পথ পায়ে হেঁটে নয়, খানিক পায়ে হেঁটে এবং খানিক বাসে চেপে এই যাত্রায় শামিল হবেন কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকেরা।
এই যাত্রার সূত্র ধরে ভোটের আগে প্রায় ১০০টি লোকসভা কেন্দ্রে পৌঁছতে চাইছে কংগ্রেস। মণিপুরের পর এই যাত্রা পৌঁছবে উত্তর-পূর্বের আর এক রাজ্য নাগাল্যান্ডে। তার পর অসম, অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয় হয়ে রাহুলেরা আসবেন পশ্চিমবঙ্গে। পশ্চিমবঙ্গে পাঁচ দিন ধরে সাতটি জেলার মোট ৫২৩ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে বিহারে ঢুকবেন তাঁরা। তার পর ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত হয়ে মহারাষ্ট্রে গিয়ে শেষ হবে এই যাত্রা।