(বাঁ দিকে)মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাহুল গান্ধী (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
মঙ্গলবার তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আলাদা করে ফোন করলেন রাহুল গান্ধী, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে এবং এনসিপি নেতা শরদ পওয়ার। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক কুশলবার্তা নেওয়ার পাশাপাশি কথা হল ‘ইন্ডিয়া’র পরবর্তী বৈঠক নিয়ে।
জানা গিয়েছে, এ মাসের শেষে নাগপুরে (যেখানে আরএসএসের সদর দফতর) ওই বৈঠকে আগ্রহী ছিলেন কংগ্রেস এবং এনসিপি নেতারা। তখন মমতা জানান, ওই সময়ে লক্ষ্মীপুজো থাকায় তাঁর পক্ষে যাওয়া সম্ভব হবে না। তবে ৪-৫ নভেম্বর নাগাদ বৈঠক হলে তিনি যেতে পারেন। প্রসঙ্গত, ৭ নভেম্বর মিজ়োরামে বিধানসভা নির্বাচন। এই ফোনালাপের পর যা পরিস্থিতি, তাতে সব ঠিকঠাক থাকলে ৪-৫ নভেম্বর নাগপুরে ‘ইন্ডিয়া’র পরবর্তী বৈঠক হতে চলেছে এবং তাতে মমতা যোগ দেবেন।
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন রাজ্যে আসন সমঝোতার ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ যে বড় কাঁটা, তা শরিক দলগুলি বুঝতেই পারছে। সম্প্রতি শরদ পওয়ার খোলাখুলিই বলেছিলেন, বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস, তৃণমূল, বামেরা পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়লেও লোকসভায় যেন একসঙ্গে লড়ে। তবে আসন সমঝোতার জন্য জোটের সমন্বয়কারী কমিটির অপেক্ষাকৃত নবীনদের বদলে প্রবীণ, অভিজ্ঞ নেতাদের যে দ্রুত একসঙ্গে বসা দরকার, সে বিষয়ে শরিকেরা মোটামুটি একমত। এ ছাড়া, জাতগণনা নিয়ে তৃণমূলকে রাজি করানোর প্রশ্নেও কথা বলতে চায় কংগ্রেস। কারণ, ‘ইন্ডিয়া’-র শরিকদের মধ্যে তৃণমূলই এ বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছিল।