Manipur Violence

‘ছয় মৃত্যুর বিচার চাই’! মণিপুরের দুই মন্ত্রী, তিন বিধায়কের বাড়িতে হামলা উন্মত্ত জনতার

মণিপুরের দুই মন্ত্রী এবং তিন বিধায়কের বাড়িতে হামলা চালাল উন্মত্ত জনতা। হামলা চলে বিজেপি বিধায়ক তথা মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহের জামাতা আরকে ইমোর বাড়িতে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২৪ ২১:৪৫
ফের অশান্ত মণিপুর।

ফের অশান্ত মণিপুর। —ফাইল চিত্র।

মণিপুরের দুই মন্ত্রী এবং তিন বিধায়কের বাড়িতে হামলা চালাল উন্মত্ত জনতা। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার সে রাজ্যের রাজধানী ইম্ফলে বেশ কয়েক জন প্রশাসনিক আধিকারিকদের বাড়িতেও হামলা চালানো হয়। হামলা হয় মণিপুরের স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণমন্ত্রী সাপম রঞ্জন, বিজেপি বিধায়ক তথা মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহের জামাতা আরকে ইমোর বাড়িতে।

Advertisement

হামলাকারীদের দাবি, জিরিবাম জেলায় ছ’জনকে খুন করায় অভিযুক্ত যাঁরা, তাঁদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে। একের পর এক মন্ত্রী এবং বিধায়কের বাড়িতে হামলার পরেই ইম্ফল পশ্চিম, ইম্ফল পূর্ব, বিষ্ণুপুর, থৌবল, কাংপোকপি এবং চূড়াচাঁদপুর জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তাগত একাধিক বিধিনিষেধও জারি করা হয়েছে।

মণিপুরের জিরিবামে কুকি জঙ্গি এবং সিআরপিএফ জওয়ানদের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। অভিযোগ, সেই সময় একদল কুকি জঙ্গি মেইতেই সম্প্রদায়ের তিন মহিলা এবং তিন শিশুকে অপহরণ করে। নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হন ১০ কুকি জঙ্গি। যদিও কুকি সম্প্রদায়ের দাবি, নিহত ১০ জন ছিলেন ‘গ্রামের স্বেচ্ছাসেবী’।

পাঁচ দিন আগেই জিরিবাম জেলা থেকে একই পরিবারের তিন মহিলা এবং তিন শিশুকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছিল সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে। ওই ছ’জন ছিলেন মেইতেই সম্প্রদায়ের। তাঁদের খোঁজ শুরু করে নিরাপত্তাবাহিনী। শুক্রবার রাতে তিন জনের দেহ উদ্ধারের পর শনিবার উদ্ধার হল আরও তিন জনের দেহ। দেহগুলি এখনও শনাক্ত করা যায়নি। তবে অনেকরই অভিযোগ, অপহৃত ছ’জনের দেহ নদীতে ভেসে এসেছে।

আরও পড়ুন
Advertisement