আবারও দিল্লিতে বাড়ল দূষণ। — ফাইল ছবি।
মাঝে দু’দিনের বিরতি। আবার রাজধানীতে বাড়ল দূষণের মাত্রা। বাতাসের গুণমান ‘খুব খারাপ’ বলে জানাল কমিশন অব এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট। শুক্রবার সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে দিল্লির বাতাসের গুণমানের সূচক (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) ছিল ৩০৩। কুয়াশায় ঢাকা ছিল আকাশ। যার ফলে সামান্য হলেও সমস্যার মুখে পড়ে বিমান চলাচল।
দূষণ এবং আবহাওয়া নির্ণায়ক সংস্থা জানিয়েছে, শুক্রবার ধীরপুরে একিউআই ছিল ২৮০। বিমানবন্দরের একিউআই ছিল ৩০৩, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে একিউআই ৩৩৭। নয়ডার বাতাসের গুণমানের খুব একটা উন্নতি হয়নি। একিউআই ছিল ৩২৯ এবং গুরুগ্রামে তা ছিল ২৩৯। এই একিউআই ২০১ থেকে ৩০০-র মধ্যে থাকলে বাতাসের গুণমান ‘খারাপ’ ধরে নেওয়া হয়। একিউআই ৩০১ থেকে ৪০০-র মধ্যে থাকলে ‘খুব খারাপ’ ধরে নেওয়া হয়। আর একিউআই ৪০১ থেকে ৫০০-র মধ্যে থাকলে বলা হয় বাতাসের গুণমান ‘ভয়াবহ’।
দিল্লি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তরফে জানানো হয়েছে, সকালে দৃশ্যমানতা কিছুটা কম থাকলেও বিমান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। গত সপ্তাহে দিল্লি এবং লাগোয়া এনসিআরে দূষণের মাত্রা চরমে ওঠে। দিল্লি এবং নয়ডায় বন্ধ রাখা হয় প্রাথমিক স্কুল। অনলাইনে পঠনপাঠন চলেছিল। রাজধানীতে সরকারি দফতরের ৫০ শতাংশ কর্মীকে বাড়িতে বসে কাজের নির্দেশ দেয় আপ সরকার। দিল্লিতে পণ্যবাহী ট্রাকের প্রবেশও নিষিদ্ধ করা হয়। এখনও দিল্লি এবং নয়ডায় জরুরি ছাড়া নির্মাণ কাজ নিষিদ্ধ। অক্টোবরের শেষ থেকে দিল্লির আশপাশে রাজ্যগুলিতে ফসল পোড়ানো হয়। সে কারণে প্রতি বছরই রাজধানীতে বাড়ে দূষণের মাত্রা। এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়ে জনস্বার্থ মামলাও দায়ের হয়েছে।