উত্তরপ্রদেশে দলিত তরুণের অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার। — প্রতীকী চিত্র।
উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে অর্ধদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার হল এক দলিত যুবকের দেহ! তাঁকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে, নাকি খুন করে দেহ আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, সেটি এখনও স্পষ্ট নয়। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে প্রয়াগরাজের কারছানা এলাকার একটি গ্রামে। রবিবার সকালে দেবী শঙ্কর নামে ৩৫ বছর বয়সি ওই যুবকের অর্ধদগ্ধ দেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসীরা। তার পর থেকেই অভিযুক্তদের গ্রেফতারির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। দেহ উদ্ধারের ঘটনায় সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ছ’জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে। ‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, খুনের মামলায় অভিযুক্ত সাত জনেই ‘উচ্চবর্ণের’ পরিবারের।
‘টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’র প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, রবিবার ঘটনাটি নজরে আসার পরে এক অভিযুক্তের বাড়িতে চড়াও হন গ্রামবাসীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরাও পৌঁছে যান এলাকায়। কী ভাবে তাঁর মৃত্যু হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। কারছানার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বরুণ কুমার জানিয়েছেন, গম এক স্থান থেকে অন্যত্র পাঠানোর জন্য শনিবার রাতে শঙ্করকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন চার জন। মৃতের পরিবারের সদস্যদের দাবি পুরনো শত্রুতার জেরে তাঁকে পুড়িয়ে খুন করা হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, গম নিয়ে যাওয়ার জন্য শঙ্করকে ডেকে প্রথমে অত্যাচার চালানো হয় এবং তার পরে ওই যুবককে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়।
ঘটনার প্রতিবাদে ইতিমধ্যে সরব হয়েছেন বহুজন সমাজ পার্টির প্রধান মায়াবতী। ঘটনাকে ‘অত্যন্ত দুঃখজনক এবং উদ্বেগের’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। সমাজমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, “অপরাধী এবং সমাজবিরোধীদের উপর রাজ্যে কোনও লাগাম থাকছে না।” যারা সমাজে এই ধরনের হিংসা ছড়াচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের বার্তা দিয়েছেন তিনিও। বহুজন সমাজ পার্টির নেত্রীর অভিযোগ, সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের কানপুর এবং ঝাঁসির মাঝে ইটাউরা গ্রামেও এক দলিতকে খুন করা হয়েছে। ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে তৃণমূলও। কেন ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বাংলার শাসকদল।