মধ্যপ্রদেশে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে একের পর এক চুরির অভিযোগ। — ফাইল চিত্র।
ঠিক যেন ‘ধুম ৩’ সিনেমার মতো। অভিনেতা আমির খানকে সেখানে দেখা গিয়েছিল দ্বৈত চরিত্রে। সিনেমার কাহিনিতে পুলিশকে নাকানিচোবানি খাইয়েছিল দুই যমজ ভাই। বাস্তবেও সেই কায়দাকে অনেকটা রপ্ত করে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে চুরির অভিযোগ দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের মৌগঞ্জে।
দুই ভাই সৌরভ বর্মা এবং সঞ্জীব বর্মা। দু’জনেই যমজ, দেখতেও প্রায় অবিকল। অভিযোগ, এক ভাই যখন শাগরেদদের সঙ্গে কোথাও চুরি করতে ব্যস্ত থাকতেন, সেই সময় অপর জন ঘোরাঘুরি করতেন অন্য কোনও জায়গায়। মূলত সৌরভ চুরি করতেন এবং সঞ্জীব ঘুরে বেড়াতেন অকুস্থল থেকে অনেকটা দূরে কোনও জায়গায়। সিসিটিভি নজরদারির আওতায় পড়ে, এমন কোনও জায়গাকে সঞ্জীব বেছে নিতেন ঘোরাঘুরি করার জন্য। ফলে চুরির পর সহজেই পুলিশের চোখে ধুলো দিতে পারতেন তাঁরা। সৌরভ পুলিশকে বুঝিয়ে দিতে পারতেন, ওই চুরির সময়েই সেখানে ছিলেনই না অভিযুক্ত।
এ ক্ষেত্রে দুই যমজ ভাই একই ধরনের পোশাক পরতেন। এমনকি তাঁরা দু’জনে একসঙ্গে থাকতেনও না। গ্রামের হাতে গোনা কিছু লোকই জানতেন তাঁরা দুই ভাই। ফলে সে কথা বিশেষ চাউরও হয়নি। সম্প্রতি মৌগঞ্জের এক গৃহস্থের বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগ নিয়ে সৌরভ এবং তাঁর দলবল সেখানে চুরি করতে যায় বলে অভিযোগ। বাড়ির আলমারি ভেঙে নগদ কয়েক লাখ টাকা এবং কিছু গয়না চুরি করার অভিযোগ ওঠে তাঁদের বিরুদ্ধে। ওই মামলার তদন্তে সৌরভ, তাঁর দুই শাগরেদ— রবিশঙ্কর বিশ্বকর্মা এবং জগন্নাথ কেওয়াতকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ওই মামলার তদন্ত চলাকালীনই প্রথমে পুলিশের নজরে আসে দুই যমজ ভাইয়ের বিষয়টি। সৌরভ পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীনই ‘ভুলবশত’ থানায় পৌঁছে যান তাঁর ভাই। প্রথম বার সঞ্জীবকে দেখে কিছুটা অবাকই হয়ে যান পুলিশকর্মীরা। পরে দু’জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বিষয়টি স্পষ্ট হয় পুলিশের কাছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, চুরির ঘটনাগুলিতে সৌরভই জড়িত। সঞ্জীবের বিরুদ্ধে চুরির ঘটনায় সরাসরি জড়িত থাকার কোনও অভিযোগ এখনও পর্যন্ত পায়নি পুলিশ।