POCSO

৩ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ গুজরাতে, অভিযুক্ত নির্যাতিতার পিতার ঘনিষ্ঠ বন্ধু, তদন্তে পুলিশ

ঘটনার পর এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান অভিযুক্ত। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় সাধারণ বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০২৪ ১৭:০৩

—প্রতীকী চিত্র।

পিতার ঘনিষ্ঠ বন্ধুই ‘ধর্ষণ’ করলেন তিন বছরের নাবালিকাকে। বুধবার এই অভিযোগ উঠে এসেছে গুজরাতের উমরগম থানা এলাকায়। ঘটনাকে ইতিমধ্যেই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। উমরগম থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত ব্যক্তি এলাকা থেকে পলাতাক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছেন পুলিশকর্মীরা। মঙ্গলবারের ঘটনার পর থেকে ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার সাধারণ মানুষ। পুলিশ যাতে দ্রুত পদক্ষেপ করে এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে, সেই দাবি তুলেছেন তাঁরা।

Advertisement

ইতিমধ্যে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন এলাকাবাসীরা। অভিযুক্তের ফাঁসির সাজার দাবি তুলেছেন তাঁরা। পুলিশ তাঁদের আশ্বস্ত করেছে অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতার করা হবে। মঙ্গলবার পুলিশ বিক্ষোভকারীদের জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে বুধবারের মধ্যে গ্রেফতার করে শহরে নিয়ে আসা হবে। তার পর থেকে তদন্তের গতি আরও বাড়িয়েছে পুলিশ। একাধিক জায়গায় অভিযুক্তের খোঁজে অভিযান চালাচ্ছেন পুলিশকর্মীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের বাড়ি ঝাড়খণ্ডে। ঘটনার পর অভিযুক্ত ঝাড়খণ্ডে পালিয়ে গিয়ে থাকতে পারেন। সেই মতো অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

ঘটনার পর থেকেই এলাকার বাতাবরণ এখনও তপ্ত। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে কোনও ভাবেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে না চলে যায়, তা নিশ্চিত করতেও তৎপর স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। নির্যাতিতা নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষার ব্যবস্থাও করেছে পুলিশ। জেলার পুলিশ সুপার করণরাজ বঘেলা এ বিষয়ে জানিয়েছেন, নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পকসো আইন এবং ভারতীয় ন্যায় সংহিতার নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি যে নির্যাতিতার পিতার বন্ধু, সে বিষয়টিও নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার।

আরও পড়ুন
Advertisement