প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: রয়টার্স।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমেরিকা সফরের প্রাপ্তি, অপ্রাপ্তি নিয়ে আলোচনা চলবে। কিন্তু সফরের শেষ দিন মোদী যা ঘোষণা করলেন, তাতে ভরা রয়েছে স্রেফ প্রাপ্তির সুখবর। আমেরিকায় বসবাসকারী ভারতীয়দের সঙ্গে রোনাল্ড রেগন সেন্টারে মোলাকাতের সময় প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, ভারত থেকে বিভিন্ন সময়ে চুরি যাওয়া শতাধিক পুরাকীর্তি ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা।
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ‘‘আমি খুশি যে, আমেরিকার সরকার ১০০টিরও বেশি যা কখনও ভারত থেকে চুরি করা হয়েছিল, তা ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সব পুরাকীর্তি আন্তর্জাতিক বাজারে পৌঁছে গিয়েছিল। আমি আমেরিকার সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’’ এর পরেই তিনি বলেন, ‘‘ভারতীয় এই পুরাকীর্তিগুলি ঠিক বা ভুল, কোনও পথ ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু আমেরিকার সিদ্ধান্তে প্রমাণিত দুই দেশের মধ্যে আবেগের সম্পর্কের রসায়ন।’’
#WATCH | PM Narendra Modi tells the Indian diaspora, "I am happy that the American government has decided to return more than 100 antiquities of India that were stolen from us. These antiquities had reached the international markets. I express my gratitude to the American… pic.twitter.com/2CLumxex3Y
— ANI (@ANI) June 24, 2023
বিভিন্ন সময় ভারত থেকে বহু পুরাকীর্তি চুরি গিয়েছে। চুরি হওয়া জিনিসপত্র আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি হয়েছে কোটি কোটি ডলারের বিনিময়ে। প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর প্রতিটি বিদেশ সফরেই সেই চুরি যাওয়া পুরাকীর্তি ফেরানোর ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছেন। কথা বলেছেন বিভিন্ন দেশের সরকার, প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। এর ফলে ২০১৪ সাল থেকে এ যাবৎ দেশে ফিরেছে ২৩৮টি পুরাকীর্তি।
২০২২ সালে আমেরিকার প্রশাসন ৩০৭টি পুরাকীর্তি ভারতকে ফিরিয়ে দিয়েছে। যার সম্মিলিত বাজারমূল্য ৪০ লক্ষ ডলারের কাছাকাছি। সেই সময় ম্যানহাটনের ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি আলভিন এল ব্র্যাগ জুনিয়র জানিয়েছিলেন, ভারতকে ফেরত দেওয়া পুরাকীর্তির বেশির ভাগই কুখ্যাত ‘আর্ট ডিলার’ সুভাষ কপূরের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া। প্রসঙ্গত, সুভাষের বিরুদ্ধে শুধু ভারতই নয়, আফগানিস্তান, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মায়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড এবং পাকিস্তানের মতো দেশ থেকে পুরাকীর্তি হাতানোর অভিযোগ ছিল।