War in Russia

‘রাশিয়ার যুদ্ধে ফেঁসে গিয়েছি’, ভারতের কাছে উদ্ধারের আর্জি পড়শি দেশের চার নাগরিকের

ভারতের পড়শি দেশের চার যুবক জানিয়েছেন, কাজের খোঁজে রাশিয়ায় গিয়ে আটকে পড়েছেন তাঁরা। জোর করে তাঁদের যুদ্ধে যোগ দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। ভারতের সাহায্য চেয়েছেন তাঁরা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০২৪ ০৯:১৬
রাশিয়ার রাস্তায় যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপ।

রাশিয়ার রাস্তায় যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপ। ছবি: সংগৃহীত।

রাশিয়ায় গিয়ে ‘ফেঁসে’ গিয়েছেন। এখন ভারতের কাছে উদ্ধারের আর্জি জানাচ্ছেন পড়শি দেশের চার নাগরিক। তাঁরা রাশিয়ায় কাজের সন্ধানে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন। কিন্তু অভিযোগ, জোর করে তাঁদের যুদ্ধে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়েছে। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ চলছে রাশিয়ার। সেই যুদ্ধেই লড়তে হচ্ছে ওই চার জনকেও।

Advertisement

নেপালের বাসিন্দা সঞ্জয়, রাম, কুমার এবং সন্তোষ। কাজের সন্ধানে রাশিয়ায় পাড়ি দিয়েছিলেন তাঁরা। জানিয়েছেন, ‘এজেন্ট’-এর মাধ্যমে রাশিয়ায় পৌঁছেছিলেন। তাঁদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, সেখানে গিয়ে রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে সাহায্যকারী বা পরিচারকের কাজ করতে হবে। কিন্তু অভিযোগ, ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধ শুরু হতেই তাঁদেরও যুদ্ধে শামিল করা হয়। ইচ্ছা না থাকলেও যুদ্ধ করতে বাধ্য করে সেনাবাহিনী।

ইউক্রেনের সঙ্গে গত দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধ চলছে রাশিয়ার। সেখানেই আটকে পড়েছেন নেপালের চার যুবক। তাঁরা ভারত সরকারের কাছে উদ্ধারের আর্জি জানিয়েছেন। ‘ইন্ডিয়া টুডে’-কে পাঠানো একটি ভিডিয়োবার্তায় ওই চার জন জানান, তাঁরা ফেঁসে গিয়েছেন। এজেন্ট তাঁদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। মিথ্যা বলে রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁদের। সেখানে প্রচণ্ড ঠান্ডায় তাঁদের জীবন বিপন্ন হয়ে উঠেছে বলেও জানান।

উল্লেখ্য, উন্নত জীবনযাপন, নিশ্চয়তা এবং অর্থলাভের আশায় প্রতি বছর নেপাল থেকে বহু মানুষ বিদেশে পাড়ি দেন। রাশিয়া, ইউক্রেনের মতো দেশগুলিতে গিয়ে তাঁরা শ্রমিকের কাজে যোগ দেন। অনেকেই সেনাবাহিনীতে চাকরি করেন। বিশেষত, নেপালের গোর্খাদের বিদেশি সেনাবাহিনীতে চাহিদা রয়েছে।

নেপালের এই চার যুবক যুদ্ধ করতে চাইছেন না বলে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে ভারত সরকারের তরফে এখনও কোনও বক্তব্য জানানো হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement