(বাঁ দিকে) একনাথ শিন্ডে এবং অজিত পওয়ার। ছবি: পিটিআই।
কার্যত পুনরাবৃত্তি!
গত ১৮ জুলাই বেঙ্গালুরুতে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের দিনই দিল্লিতে এনডিএ-র বৈঠক ডেকেছিল বিজেপি। আর এ যাত্রায় শুক্রবার মুম্বইতে যখন ফের বসতে চলেছে ইন্ডিয়া জোট, সে দিনই মুম্বইয়ে এনডিএ-র বৈঠক ডাকা হয়েছে। তবে গতবারের মতো ৩৮টি দলের বৈঠক নয়, মহারাষ্ট্রের এনডিএ-র যে শরিক দলগুলি রয়েছে— সেই বিক্ষুব্ধ শিবসেনা-এনসিপি নেতৃত্বের সঙ্গেই আলোচনায় বসবেন বিজেপি নেতারা।
কর্নাটকের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হারের পর থেকেই ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে চলেছে ইন্ডিয়া জোট। তাই নতুন শরিকদের কাছে পেতে তৎপর হয়েছে বিজেপিও। তবে বেঙ্গালুরুর পর এবার মুম্বইয়ে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের দিনেই যে ভাবে পাল্টা এনডিএ বৈঠক ডাকা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে। অনেকের মতে, ইন্ডিয়া জোট যাতে প্রচারের আলো শুষে নিতে না পারে, সে কথা মাথায় রেখে একই দিনে বৈঠকের পরিকল্পনা করেছেন এনডিএ নেতৃত্ব। এনডিএ যে পিছিয়ে নেই, সেই বার্তা দিতেই পাল্টা বৈঠকের পরিকল্পনা।
মুম্বইয়ে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে ২৭টি দল উপস্থিত থাকতে চলেছে। আর এনডিএ-র বৈঠকে বিজেপি ছাড়া উপস্থিত থাকবে এনসিপি ও শিবসেনা ভেঙে বেরিয়ে আসা নেতারা। অজিত পওয়ার গোষ্ঠীর নেতা সুনীল টটকরে আজ বলেন, ‘‘এনডিএ-র বৈঠক অনেক দিন আগেই স্থির হয়ে গিয়েছিল। বিধানসভার বাদল অধিবশনের সময়েই সমন্বয় কমিটি বৈঠকের দিন স্থির করেছিল। তাই বিপক্ষ শিবিরের বৈঠকের দিন দেখে এনডিএ-র বৈঠকের দিন ঠিক হয়েছে— এমন অভিযোগ ঠিক নয়। ওই বৈঠকে বিজেপি ছাড়াও
শিবসেনা (একনাথ শিন্ডে), এনসিপি (অজিত পওয়ার) নেতারা উপস্থিত থাকবেন।’’ সূত্রের মতে, পরের লোকসভা ভোটের রণকৌশল নিয়ে আলোচনা করবেন এনডিএ শরিকরা। মহারাষ্ট্রের আসন ভাগাভাগি নিয়ে তাঁরা কথা বলতে পারেন।