এনসিপি সভাপতি শরদ পওয়ার। ফাইল চিত্র।
পটনার বৈঠকে বিজেপি বিরোধী জোটের ‘প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী’ নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি বলে দাবি করলেন এনসিপি সভাপতি শরদ পওয়ার। সোমবার মহারাষ্ট্রের বারামতীতে তিনি বলেন, ‘‘শুক্রবারের বৈঠকে সাম্প্রদায়িকতা, মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্বের মতো বিষয়গুলিকে সামনে রেখে আমরা ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ‘প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী’ মনোনয়নের বিষয়ে কোনও কথা হয়নি।’’
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের ডাকে শুক্রবার পটনায় ১৫টি বিরোধী দলের বৈঠকে শরদ এবং তাঁর কন্যা তথা এনসিপির কার্যনির্বাহী সভানেত্রী সুপ্রিয়া সুলে যোগ দিয়েছিলেন। বৈঠকের পরে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে কার্যত কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সুরেই শরদ পারস্পরিক মতবিরোধ দূরে সরিয়ে একজোট হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বলেছিলেন।
পটনার বৈঠককে জোটের প্রথম পদক্ষেপ বলেই মনে করা হচ্ছে। জোটের ‘মুখ’ কে হবেন, তা ভোটের আগে না পরে ঠিক হবে— সে সব কথা আলোচনার সময় এখনও আসেনি। কিন্তু শুক্রবার যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে বিরোধী বৈঠকের আয়োজক নীতীশ যে ভাবে সকলের আগে রাহুলকেই জোটের তরফে প্রথম মুখ খোলার অনুরোধ জানিয়েছিলেন, তা যথেষ্ট ‘তাৎপর্য’ বহন করছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মত।
এই পরিস্থিতিতে পওয়ারের মন্তব্য ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করা হচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে, বিরোধী ঐক্যের সলতে পাকানো শুরু হতে না হতেই কি মতভেদ দেখা দিল? ঘটনাচক্রে, মমতা তৃণমূল গড়ার বছর খানেক পরে কংগ্রেস ছেড়ে এনসিপি তৈরি করেছিলেন পওয়ার। মহারাষ্ট্রে গত আড়াই দশক ধরে প্রায় ধারাবাহিক ভাবেই কংগ্রেসের সহযোগী এনসিপি। কিন্তু দেশের অন্য বহু রাজ্যে দু’দল পরস্পররের প্রতিদ্বন্দ্বী। কর্নাটকের সাম্প্রতিক বিধানসভা ভোটেও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়েছে পওয়ারের দল। এই পরিস্থিতিতে প্রবীণ মরাঠা নেতা কংগ্রেসের উপর চাপ বাড়ানোর কৌশল নিলেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।