প্রতীকী ছবি।
লোকসভা এবং রাজ্যসভা সাংসদদের উন্নয়ন তহবিল (এমপি ল্যাড) ফের চালু করছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। বাড়ছে তহবিলের অঙ্কও। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব ছাড়পত্র পেয়েছে বলে বুধবার জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।
সাংবাদিক বৈঠকে অনুরাগ বলেন, ‘‘২০২১-২২ অর্থবর্ষের বাকি সময়ের হিসেবে এককালীন ভিত্তিতে সাংসদদের দু’কোটি টাকা মঞ্জুর করা হবে। পরবর্তী পর্যায়ে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষ পর্যন্ত ধারাবাহিক ভাবে পাঁচ কোটি টাকা করে বাৎসরিক অর্থ বরাদ্দ হবে।’’
লোকসভা এবং রাজ্যসভা সাংসদের এলাকা উন্নয়ন তহবিলের মাধ্যমে বার্ষিক দু’কোটি খরচ করতে পারতেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে ২০২০ সালে সাংসদ তহবিল দু’বছরের জন্য বরাদ্দ মুলতবি ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। পাশাপাশি সাংসদদের বেতন ও ভাতা ৩০ শতাংশ ছাঁটাই করা হয়েছিল। গত বছরের বাদল অধিবেশনে সংসদে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব পাশ হয়েছিল।
সরাসরি সাংসদ তহবিল ছাঁটাই বিলের বিরোধিতা করেনি কোনও রাজনৈতিক দল। কিন্তু সংসদে বিল নিয়ে আলোচনার সময়ে মূলত তিন বিষয়ে বিরোধীরা বিঁধেছিলেন সরকারকে। বিরোধী দল এবং রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে আলোচনা না-করে এমন এক তরফা ভাবে সাংসদ কোটার টাকা বন্ধ করে দেওয়া গণতন্ত্র ও যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিরোধী বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।
দ্বিতীয়ত, সাংসদেরা যদি এলাকা উন্নয়নের কোটার টাকা না পেলে মাস্ক, স্যানিটাইজার কেনা এবং বিলিও করতে পারবেন না তাঁরা! এর ফলে কত টাকা বাঁচবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিরোধীদের একাংশ বলেছিল, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যদি অর্থ সাশ্রয় এত গুরুত্বপূর্ণ হয়, তা হলে অতিমারি আবহে সেন্ট্রাল ভিস্তার মতো প্রকল্পে টাকা ঢালা কেন!
তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় বলেন, ‘‘কোভিড সংক্রমণের কারণে সাংসদদের তহবিলের টাকা বন্ধ করা হয়েছিল। তাতে সাংসদদের এলাকায় উন্নয়নের কাজ ব্যাহত হচ্ছিল। সাংসদদের বেতনও ৩০ শতাংশ কমানো হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে সাংসদদের এলাকা উন্নয়নের টাকা দেওয়া হলে যে প্রকল্পগুলির কাজ বন্ধ হয়ে রয়েছে, সেগুলি ফের চালু করা যাবে।’’